শিরোনাম
◈ চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে: খাদ্য উপদেষ্টা ◈ সাধারণ কাজ করা বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়বে না সরকার ◈ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি পাকিস্তানের: এএনআই'র প্রতিবেদন ◈ সংশোধন হচ্ছে চাকরি আইন: ৮ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে সরকার ◈ এ সভ্যতা শুধু বিশ্বজুড়ে বর্জ্য তৈরি করছে, এক সময় যা আমাদের বিনাশ করবে: ড. ইউনূস ◈ বাবার ‘ভুলের জন্য’ ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ◈ কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ ◈ প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের গোপন সামরিক জাল! ◈ কাশ্মীর হামলার পর দিল্লির দৃষ্টি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর দিকে, পাল্টা হুঁশিয়ারিতে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ◈ ৬০ শতাংশের বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে চায়: জাপানের ভাইস মিনিস্টার

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০১৯, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৯, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধে ২০ জেলায় ৫১২১ গণহত্যা: জরিপ

নিউজ ডেস্ক: বাংলা একাডেমিতে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের জরিপের তথ্য প্রকাশদেশের ২০ জেলায় গণহত্যার সংখ্যা পাঁচ হাজার ১শ ২১টি। প্রতিটি গণহত্যায় ৫ থেকে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের জরিপে। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এই জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির ট্রাস্টি সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। এর আগে গত বছর ১০ জেলার জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এবার আরও ১০ জেলায় জরিপে পাওয়া তথ্য নিয়ে আয়োজন করা হয় এই সেমিনার। এই ১০ জেলা হলো- গাইবান্ধা, জামালপুর, নড়াইল, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর, লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার ও বরিশাল। গত বছর জরিপ করা ১০টি জেলা হচ্ছে- নীলফামারী, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, কুড়িগ্রাম, পাবনা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, ভোলা এবং খুলনা। ২০টি জেলার বধ্যভূমির সংখ্যা ৪০৪, গণকবর ৫০২টি এবং নির্যাতন কেন্দ্র ৫৪৭টি।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এই জরিপ নিখুঁত এমন দাবি করা সমীচীন নয়। অনেক গণহত্যা, বধ্যভূমি বা গণকবর বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছে। তখন গণহত্যায় মানুষের সংখ্যা হিসাব করেছি, তাও রক্ষণশীল হিসাব। গণনায় ভুল থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা নেই। এখন সময় এসেছে আসলে এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার। এই জরিপ সেই প্রচেষ্টার অংশ। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে পারি, গণহত্যার হিসাব ১৯৭১ সালে যা দেওয়া হয়েছিল সেখানে উদ্বাস্তু শিবিরে মৃত্যুর সংখ্যা ধরা হয়নি। প্রকৃত হিসাব শিবিরের কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। কিন্তু তৎকালীন পত্রিকায় এ সম্পর্কে বীভৎস রিপোর্ট ও ছবি ছাপা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে এমন মরদেহ কুকুরে খুবলে খাচ্ছে। আমেরিকার লাইফ পত্রিকার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, শকুনরা এসব মৃতদেহ এত খেয়েছে যে তাদের অরুচি ধরে গেছে। সেই সংখ্যা অবশ্য গণহত্যার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন শহীদের সংখ্যা কত দাঁড়ায়।’

এর আগে সকালে উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপের ফলাফল সংক্রান্ত প্রকাশিত ১০টি গ্রন্থ নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনারে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনায় জাদুঘর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী জায়গা দিয়েছেন। সেখানে নকশা প্রণয়নের কাজ হয়েছে। সেখানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মিত হবে।

অধিবেশন দুটিতে সভাপতিত্ব করবেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. মো. মাহবুবর রহমান ও কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। প্রথম অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়