লালমনিরহাট প্রতিনিধি : আগে বুড়িমারী স্থল বন্দর থেকে মালামাল রেল পথে যেত, এখন ট্রাকে যাচ্ছে। ট্রাক সেক্টররের সিন্ডিকেটের কারণে এখন আর রেল পথে মালামাল যাচ্ছে না। এতে রেলওয়ে বিভাগ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যদি আবারও উদ্দ্যোগ নিয়ে রেল পথে মালামাল পরিবহন করেন তাহলে রেলওয়ে বিভাগ আরো লাভজনক হয়ে উঠবে।
তিনি শুক্রবার লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উওরে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, বুড়িমারী স্থল বন্দর-চ্যাংরাবান্ধা রুট দিয়ে ৪ দেশীয় ট্রেন পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল ৪ দেশীয় বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন স্থলবন্দর ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীরা। আগামী দুই বছরের মধ্যে এসব বাস্তবায়ন হবে। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালু হবে। চলতি বছরে দুই শত এবং আগামী বছরে আরো সাড়ে পাঁচশত আধুনিক কোচ ক্রয় করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কোচ সংযোজন হলে রেলওয়েতে অব্যবস্থাপনা থাকবে না। রেলের অব্যবস্থাপনা সনাক্ত করতে পরিদর্শন শুরু হয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, লালমনিরহাটের মোঘলহাটসহ দেশের সকল বন্ধ রেল লাইনগুলো সংস্কার করে দ্রুত চালু করা হবে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মিটার গেজ লাইনে ব্রোডগেজ সংযোজন করে ডুয়েল গেজ করা হচ্ছে। যাতে দুই ধরনের ট্রেন চালানো যায়। সাংবাদিকদের সাথে রসিকতা করে মন্ত্রী বলেন, এতো দিন রেলমন্ত্রী পুর্বাঞ্চলে ছিল এখন পশ্চিম অঞ্চলে এসেছে। তাই পশ্চিম অঞ্চলের অবহেলিত রেলের উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমি, জেলা পরিষদ সদস্য মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, রেলপথ মহা পরিচালক খন্দকার শহিদুল হক ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :