রাজু সিলেট: ২)স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর সিলেটে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিলেটে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গণ পূর্তমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।
৩) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ উল্লেখ করে ওই পত্রে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক বাহিনীর মর্টারের গোলার আঘাতে সিলেটের হাফিজ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আশেপাশে একটি স্মৃতিসৌধ বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সিলেট সিটি করপোরেশনের বেদখল হয়ে থাকা ভূমিকে ব্যবহারের জন্যে অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের ব্যক্তিগত সহকারী জাবেদ সিরাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪) মন্ত্রীর এই উদ্যোগে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সিলেটের বিশিষ্টজনেরা। তারা জানান, সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সিলেটে বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে ঘিরে যত কর্মসূচি হয় তার সবই শহীদ মিনার কেন্দ্রিক। একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলে নির্দিষ্ট দিবসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের অবদান বিশাল। আর তাই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণে একটি সৌধ নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান স্থানীয়রা।
৫) তবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে স্থান নির্বাচনে একটি বড় অন্তরায় হতে পারে বলে মনে করেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে তাঁরা আশা করেন সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হলে তা হবে সকলের জন্য গর্বের। কেননা সিলেট নগরবাসী দীর্ঘদিন থেকেই এই দাবি উত্থাপন করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আশা করা যায় অচিরেই তা বাস্তবায়িত হবে।
উল্লেখ্য স্থান নির্ধারণ করতে না পারায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ গড়ে ওঠেনি। তাই অনেকেরই দাবি স্মৃতিসৌধটি যেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়। এজন্য পুরাতন কারা ভবনের স্থানকে নির্বাচনের জন্য দাবি উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :