নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের ফুলার রোড কার্যালয় প্রাঙ্গণে সম্প্রতি ‘প্লে লার্ন অ্যাক্ট’ প্রকল্পের গ্র্যান্ড গালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার। এইচএসবিসি’র আর্থিক সহায়তায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘প্লে, লার্ন, অ্যাক্ট’ প্রকল্প।
বিভিন্ন কমিউনিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বই পড়ার উৎসাহদানে এবং ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজিতে পড়ার ক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চালু হয় এ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায়, অংশগ্রহণকারী ২০ স্কুলে গ্রন্থাগার তৈরি করে য়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল। পাশাপাশি, অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাদান ব্যবস্থায় একশ’র বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তিন বছরের মধ্যে ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণম‚লক স্টোরিটেলিং সেশন এবং ম‚ল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাষাগত ক্ষতা ও ইংরেজিতে পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পায় সাথে তারে সৃজনশীলতা উদ্ভাসিত হয়।
এ প্রকল্পের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানে প্রতি বছরের শেষের গালা অনুষ্ঠান আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রকল্পের গ্র্যান্ড গালা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইব্রেরির মহাব্যস্থাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী শিখা, এইচএসবিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্ল্যায়েন্স শাওলি কামাল খান, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু নিউটন এবং সংস্থাটির হেড অব কালচারাল সেন্টার তানভীর আলিম। স্বাগত বক্তব্যে অ্যান্ড্রু নিউটন আলোকপাত করেন কিভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ ধরনের প্রকল্পের ব্যাপারে এইচএসবিসি’র ধারণা ও প্রত্যাশার ব্যাপারে বক্তব্যে আলোচনা করেন শাওলি খান। পাশাপাশি, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রচেষ্টার সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে প্লে, লার্ন, অ্যাক্ট প্রকল্পের প্রশংসা করেন এবং এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এর বাইরেও তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এ ধরনের প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। এরপরে, বিজয়ীদের একজন প্লে, লার্ন, অ্যাক্ট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ও এ প্রকল্প থেকে সে কী শিক্ষা লাভ করেছে তা ব্যক্ত করে।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী সেশন ছিলো মালিহা মোহসিনের উপস্থাপনায় ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরিটেলিং সেশন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী এ সেশনে অংশগ্রহণ করে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ শিক্ষার্থী বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে পদক, ক্রেস্ট ও গিফট ব্যাগ দেয়া হয়। এরপর এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ সকল শিক্ষক, থানা জেলা কর্মকর্তা (টিইও) ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
এ প্রকল্পের অধীনে কমিউনিটি কর্মসূচি আয়োজন করা হয় যার উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানে প্রয়োজনীয় ক্ষতার বিকাশ ঘটানো। এছাড়াও, প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবীরে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ইন্টারপারসনাল স্কিল বৃদ্ধি পায় এবং এর সাথে তাদের সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখার ক্ষেত্রে নিজস্ব অনুভ‚তি তৈরি হয়, যা ব্রিটিশ কাউন্সিলের অন্যতম লক্ষ্য।
আপনার মতামত লিখুন :