শিরোনাম
◈ মূল সড়কে চলবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা ◈ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিল সৌদি সরকার  ◈ আজারবাইজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিদ্যুতের দামে সমতা চায় ডেসকো-ওজোপাডিকো ◈ সারাভারতে বাজছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ঘৃণাপূর্ণ সঙ্গীত ◈ অপকর্ম বন্ধ না করলে বিএনপিকেও ছুড়ে মারবে জনগণ: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশিকে ধরতে এসে পা ধরে মাফ চাইল বিএসএফ (ভিডিও) ◈ ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম ◈ সারজিস আলমের চ্যালেঞ্জ, কড়া জবাব দিলেন রাশেদ খান ◈ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ লাভে প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত হবেন না: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৯, ০১:৪৪ রাত
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৯, ০১:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ইউসিসিএ কর্মচারীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরি জাতীয়করণ ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর মূল কর্মসূচি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (ইউসিসিএ)-র কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে দেশের ৪৭৮টি উপজেলায় কর্মরত সব কর্মচারী অংশ নেন। ইউসিসিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধনে বক্তারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দ্বিস্তর সমবায় কার্যক্রম আইআরডিপির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দিয়ে সরকারি বেতন ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ’৭৫ পরবর্তী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্ষমতায় এসে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১০ সালে বিআরডিবির ৪৪তম বোর্ড সভায় উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির কর্মচারীদের রাজস্বকরণের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের ৭ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইউসিসিএ কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তর করা ও যতদিন পর্যন্ত রাজস্বে স্থানান্তরকরণ না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০ ভাগ বেতনভাতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তারা অভিযোগ করেন, এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ৫০ ভাগ বেতন ভাতা দেওয়া হলেও গত ৩ বছর ধরে বিআরডিবি’র কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দুই থেকে তিন বছর ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে বিআরডিবি’র কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তারা জানান, ২০১৫ সালের বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হওয়ার ফলে চাকরি জীবন শেষে বিআরডিবি’র কর্মচারীরা শূন্য হাতে অবসরে গেছেন। এদের মধ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারাও রয়েছেন। ফলে শেষ জীবনে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই।

বক্তারা জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত কর্মসূচি চলমান রাখার স্বার্থে ২০১২ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, সরকারি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সব সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইউসিসিএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল মিয়া। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেখ ফেরদাউস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আ. সহিদ, কোষাধ্যক্ষ মো. শাকিল খান, সহ সম্পাদক মো. সাচ্চু হোসেন, কার্যকরী সদস্য মীর ফজলুলসহ বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়