প্রতিবেদক : অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারের দোকানে মরা মুরগির মাংস বিক্রি করে এরকম খবর নতুন কিছু না। ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় খাবারের দোকানে এরকম ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তবে অনেককেই প্রশ্ন দেখা যায় যে, মাছ খাওয়া গেলে মরা মুরগির মাংস খেলে অসুবিধা কোথায়?
এবিষয়ে বিজ্ঞান ও ধর্ম কি তা জানতে আলোচনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও মুফতি ফয়জুল্লাহর সঙ্গে। তারা জানান মরা মুরগির মাংস বিজ্ঞান ও ধর্মীয় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়ে বিজ্ঞান ও ধর্মের কিছু তথ্য ধরেন।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বণ ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বণ ডাই অক্সাইড মুক্ত। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মাছের মৃত্যু হলেও তার ভেতর ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। তাই মৃত মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর নয়।
তিনি আরো জানান, মরা মুরগির মাংস বিক্রির প্রবণতা পাকিস্তান আমলেও ছিল। যার জন্য ১৯৫৯ সালেই একটি আইন করা হয়। তবে মরা মুরগি কেন বিক্রি হবে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, সুরা বাকারার ১৭৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি তোমারদের উপর মৃত জীবজন্তু, রক্ত ও শুকরের মাংস হারাম করেছেন, আর যেসব প্রাণী যা এক আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারও নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। মৃত জন্তুর মাংস খাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম।