সুজন কৈরী: ২) মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে কমিশন ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘মানব পাচার প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এ আহবান জানান।
৩) মানব পাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি প্রতিরোধে সরকারের আন্তরিকতা ও নানান কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও এর মাত্রা কমেনি। পাচারের শিকার ব্যক্তিরা বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকার ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন করেছে। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় আমরা আশানুরুপ ফলাফল দেখতে পাইনি। এই আইনের ১৯ ধারায় বলা হয়েছে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে এবং ২১ ধারায় বলা হয়েছে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হল এখন পর্যন্ত কোন জেলায় ট্রাইব্যুনাল হয়নি। ফলে এখনো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার বিচার চলছে। এজন্য দীর্ঘ সূত্রিতার পাশাপাশি যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। তাই সরকারের প্রতি আমি আহবান জানাচ্ছি সারা দেশে সম্ভব না হলেও প্রাথমিকভাবে ৫টি বিভাগে কিংবা পাচারের ঘটনা বেশি ঘটে, যেসব এলাকায় এমন শীর্ষ ১০টি জেলায় অন্তত একটি করে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করলে ভুক্তভোগীরা সঠিক সময়ে ন্যায় বিচার পাবে। আগামী বাজেটে এই খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আমরা অতি শীগিগির চিঠি পাঠাব।
৪) মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবির, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী সালমা আলী, ব্র্যাকের পরিচালক কে এম মরশেদ, হেড অব মাইগ্রেশন শরিফুল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব গাজীউদ্দিন মো. মুনির, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সইয়দা সালমা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জিনাত আরা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আমিনুর রহমান প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :