মারুফুল আলম : ২) রাঙ্গামাটিতে ৭ জন নিহতের রেশ না কাটতেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নিহতের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। উপর্যুপরি সহিংসতার ঘটনায় বিশেষ অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যমুনা টিভি।
৩) রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গম যে এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ৭ জন নিহত হন, সেখানে একদিকে উঁচু পাহাড়, অন্য দিকে নিচু ঢাল। দুপাশ থেকেই গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। চলছে না যানবাহন। এক পথিক জানালেন, তিন চার মাইল হেঁটেছেন, গন্তব্যে পৌঁছতে আরো কিছু পথ হাঁটতে হবে। আরেকজন বললেন, সোমবারের ঘটনার পর থেকে তারা জঙ্গলে নির্ঘুম রাত পার করছেন, তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই।
৪) আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, এটি আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বিরোধের জের। জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপ এবং ইউপিডিএফ এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা তাদের। অপরাধীদের ধরতে চলছে যৌথ অভিযান।
৫) খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হকের সন্দেহের তালিকায় জেএসএস। তিনি বলেন, জেএসএসই হচ্ছে মূল, তারা যেহেতু সরকারকে এর আগে হুঁশিয়ারী দিয়েছে। এবং তাদের সঙ্গে ইউপিডিএফ কাজ করে, তারাও এতে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
৬) সোমবারের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, শান্তির প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবেন না তারা। তারা বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে পাহাড়ী এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে শান্ত রয়েছে।
৭) রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন জায়গায় ওৎ পেতে থাকে। দুই চার পাঁচ দিন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে থাকে, এক পর্যায়ে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সফল হয়। তাই এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
৮) যে কোনো মূল্যে সহিংসতা থেকে মুক্তি চান বারবার রক্তাক্ত হওয়া পাহাড়ীরা।
আপনার মতামত লিখুন :