হ্যাপি আক্তার : ২) সবজি বা ফল বেশির ভাগ মানুষই খোসা ছাড়িয়ে খান। তবে সবজি বা ফল খোসাযুক্ত অবস্থায় খেলেই বেশি সুফল পাওয়া যায়। খনিজ ও ভিটামিনের জোগান দিতে এগুলিও নানাভাবে কাজে আসে। রান্না বা রূপটান, ঘরোয়া বা গৃহস্থালীর নানা কাজেও আসবে এই খোসা। লাইফ স্টাই।
জানেন কি, কেমন করে ব্যবহার করলে কিছু কিছু ফল বা সবজির খোসা হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান? জানলে এসব খোসা আর কখনও ফেলবেন না।
৩) বেগুন : বেগুনের খোসাতে থাকা নাসুনিন নামের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। সেল ড্যামেজ রুখতে এবং বয়সজনিত অসুখবিসুখে খুবই কার্যকরী।
৪) মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, বেটক্যারোটিন এবং পটাশিয়াম। ফলে তা ছাড়িয়ে খেলে এই উপাদানগুলি বাদ পড়ছে আপনার ডায়েট থেকে।
৫) আলু: আলুর মধ্যে যে ভিটামিন ‘বি’ বা মিনারেল আছে, তার ২০ শতাংশই থাকে খোসার মধ্যে। এমন কি সমস্ত ফাইবারও থাকে খোসার মধ্যেই। ফলে খোসা ছাড়ালে পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়।
৬) শশা : শশার খোসায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে। মিউনিটি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খুবই কাজে দেয় শশা।
৭) গাজর : শশার মতো গাজরের সমস্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এর খোসাতে। খোসা ছাড়ানো গাজর খেলে তার পুষ্টিগুণ ব্যাহত হয়।
৮) আপেল : আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। খোসা ছাড়ালে তা বের হয়ে যায়। আপেলের খোসার মধ্যে ভিটামিন ‘সি’-সহ ট্রিটারপেনয়েডস রয়েছে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী।
৯) কলার খোসা: ত্বকের যতেœ এর খোসা অত্যন্ত উপযোগী। কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে। দাঁতের হলুদ ভাব কাটাতেও কলার খোসা কাজে লাগে।
১০) লেবুর খোসা: লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন? এমন ভুল আজ থেকে আর নয়। রোদে খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করো এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন। দুধ, মধু ও ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে একটা ফেস মাস্ক তৈরি করে ফেলুন। ত্বক থেকে তেল সরাতে, মুখে আলাদা জেল্লা আনতে এই মাস্ক খুব উপকারী। বইয়ের আলমারিতে শুকনো লেবুর খোসা রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব ঠেকানো যায়। মশা-মাছি-সহ অন্যান্য কীট-পতঙ্গের আনাগোনা যেখানে বেশি, সেখানেও রাখুন। লেবুর খোসা অম্বল বা গা বমি ভাব কাটাতেও কাজ করে। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :