সাত্তার আজাদ, সিলেট: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল বলেছেন, বৃহত্তর সিলেটে সরকারি ও বেসরকারি ১৩৭টি কলেজ রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র ঢাকা জেলায় ৮৮৫টি কলেজ রয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলেছি। সরকার আমার বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রণালয় সিলেটের ১২২টি কলেজকে উন্নত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ রাজা জিসি হাইস্কুল ও জিন্দাবাজারস্থ রসময় মেমোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পৃথক অনুষ্ঠানে শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য আজকের প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে। সে জন্য শিক্ষায় আমাদের আরো সাফল্য অর্জন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অনেক পিছিয়ে পড়েছে সারা বাংলাদেশের তুলনায় সিলেট সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে পিছিয়ে। এর কারণ হচ্ছে, সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অর্ধেকের বয়স ২৫ বছরের নিচে। এক-তৃতীয়াংশ লোকের বয়স ১৮-৩৪ বছর। আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, কর্মক্ষম এতো লোক আমরা পেয়েছি। এই বিশাল জনশক্তি সত্যিকার অর্থে তখনই কাজে লাগবে যখন তারা উন্নত প্রযুক্তি ও গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। অন্যথায়, এরা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনশক্তিকে সুশিক্ষিত করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথমদিনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। সারাদেশে এখন স্কুল-কলেজে ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে। সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সারাদেশের ১ লাখ ৫৬ হাজার স্কুলে একটি করে স্মার্টবুক দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তিতে আরো দক্ষ হবে বলে মনে করেন মোমেন।
আপনার মতামত লিখুন :