সাইদুর রহমান: ১.মু’মিনের কষ্টতে শয়তানের আনন্দ। এমনকি সুযোগ মতো তার বাড়িতে আগুন ধরিয়েও আনন্দ পায়। আর যদি সেই সময় আল্লাহ সম্বন্ধে কোনো মন্তব্য করে তাতেও শয়তানের লাভ। এই জন্য শোয়ার সময় আগুন ছেড়ে রাখা নিষেধ। বিশেষ করে তেলের প্রদীপ, মশা তাড়াবার জন্য খড়ের ধুঁয়া ইত্যাদি। কারণ শয়তান সুযোগ বুঝে ইত্যাদির সাহায্যে বড় অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে।
২.এই জন্য নবী সা. বলেছেন, যখন তোমরা ঘুমাতে যাবে তখন (আগুনের) বাতিগুলো (তেমনিভাবে দাহ্য পদার্থও ) নিভিয়ে দিয়ো। কারণ শয়তান (ইঁদুর) এর মতো কিছুকে (বাতির) দিকে পথ দেখিয়ে দেয়। ফলে তা তোমাদের জ্বালিয়ে দিবে। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২৪৯)
৩.অন্য এক হাদীসে এসেছে, (রাত্রে ঘুমাবার আগে) তোমরা পাত্র ঢেকে দাও, পানির মশকের মুখ বেঁধে দাও, দরজা বন্ধ করে দাও, প্রদীপ নিভিয়ে দাও। কেননা শয়তান মুখ বাধা মশক খুলে না বন্ধ দরজাও খুলে না এবং পাত্রের ঢাকনাও উন্মুক্ত করে না।
সুতরাং তোমাদের কেউ যদি পাত্রের মুখে বিসমিল্লাহ বলে আড় করে রাখার জন্য কেবল একটি কাষ্ঠখন্ড ছাড়া অন্য কিছু না পায় তাহলে সে যেন তাই করে। কারণ ইদুর ঘরের লোকজনসহ ঘর পুড়িয়ে ছারকার করে দেয়। (মুসলিম ৫৩৬৪)
৪.সংসারেও আগুন লাগায় শয়তান। হাদীসে এসেছে, ইবলিস পানির ওপর সিংহাসন বসায়, তারপর অশান্তি সৃষ্টির জন্য তার অভিযান-সৈন্য পাঠায়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী নৈকট্য লাভ করে যে সবচেয়ে বড় ফেতনা সৃষ্টি করতে পারে। অত:পর প্রত্যেকে কাজের হিসাব দিয়ে বলে, আমি এই করেছি, ইবলিস বলে, তুমি কিছুই করোনি। একজন এসে বলে, আমি এক দম্পতির মাঝে ঢুকে পরস্পর কলহ বাধিয়ে পরিশেষে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ছেড়েছি। তখন ইবলিস সিংহাসন ছেড়ে উঠে এসে তাকে আলিঙ্গন করে বলে, হ্যা, (তুমিই কাজের কাজ করেছো) মুসলিম, হাদীস নং ৭২৮৪)
আপনার মতামত লিখুন :