রাশিদ রিয়াজ : ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাননি ভারতের টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-এর লক্ষাধিক কর্মী। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই সংস্থায় এইভাবে বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই উঠে এল সংস্থার ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।
কোতাক ইন্সটিটিউশনাল ইকুইটিস নামে একটি সংস্থার গবেষণা বলছে, বিএসএনএল’র এর ক্ষতি ৯০,০০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে গত ডিসেম্বরে। এই ক্ষতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে আলোচনাও করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
রিপোর্ট বলছে, এই বিপুল ক্ষতির জন্যই কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না সংস্থাটি. আর যদি এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সরকারকেই বইতে হবে একটা বড় অংশের বোঝা। রিপোর্ট আরো বলছে ২০০৮ অর্থবর্ষে শেষ লাভের মুখ দেখেছিল এই সংস্থা। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৮ অর্থবর্ষের মধ্যে মোট ৮২,০০০ কোটি ক্ষতি হয়েছে সংস্থার। হিসেব বলছে ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে সেই ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৯০,০০০ কোটি।
এটাই প্রথমবার, এই সংস্থার কর্মীদের বেতন আটকে গেছে। কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিংহের কাছে আর্জি জানিয়েছে সরকার যেন অর্থের ব্যবস্থা করে কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য এবং সংস্থাটি চাঙ্গা করার জন্য। পাশাপাশি কর্মীরা এই ইস্যুতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও জানিয়েছে।
বিএসএনএলের আয়ের ৫৫ শতাংশ চলে যায় কর্মীদের বেতন দিতে এবং বছরে বেতন বাবদ খরচ বৃদ্ধি পায় ৮ শতাংশ যদিও আয় এক জায়গায় স্থির হয়ে রয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে বিএসএনএল ক্ষতিতে চলছে। বিএসএনএল কর্মী ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে বিএসএনএলকে হাতিয়ার করে ফায়দা লুঠছে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি অন্যদিকে বিএসএনএলকে চক্রান্ত করে রুগ্ন করে তোলা হচ্ছে।
কর্মীদের অভিযোগ একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছেন বিএসএনএলের পরিসেবায়। তখন তার চাপ পড়ছে কর্মীদের উপর। কিন্তু কর্মীরা সেই কাজ করতে গেলে তারা দফতরের কোনেও সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :