নিউজ ডেস্ক : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিদের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলতে দেখা যেতো তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলামদের।
কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এক দুর্ঘটনায় বদলে গেল সব। মাঠে নামার বদলে বাংলাদেশ দল চেপে বসেছে দেশে ফেরার বিমানে। বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ দলের ১৫ জন ক্রিকেটারসহ মোট ১৯ সদস্য। রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে দেশের মাটিতে অবতরণ করার কথা রয়েছে তাদের। জাগো নিউজ।
দেশে অবস্থানরত বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, 'প্রথমে ভাবা হয়েছিল, আলাদা আলাদা করে যে কয়জনকে পারা যায় একে একে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে পরে ১৯ সদস্যের দলের একসঙ্গে ফেরার ব্যবস্থা করা গেছে। এই ফ্লাইটটি বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে।'
দেশে ফেরা নিয়ে দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় আমরা রওনা দেব। আশা করি ঢাকায় পৌঁছাবো রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।আমরা ১৯ জন ফিরব। কোচিং স্টাফের কেউ ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে, কেউ হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁরা দ্রুতই টিকিট পেয়ে যাবেন।’
এমন এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলেন দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য মুশফিকুর রহীম। বিমানবন্দরে পৌঁছে নিজের একটি ছবি আপলোড করে তিনি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! শেষ পর্যন্ত বাড়ি যাওয়ার সময় হয়েছে।’
এদিকে, শনিবারই (১৬ মার্চ) শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলতি সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। কিন্তু ম্যাচটি সমঝোতার ভিত্তিতে বাতিল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
প্রসঙ্গতঃ নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলার সময় খুব কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে ঢোকার মুখে অজ্ঞাত এক নারীর কাছ থেকে হামলার সতর্কবার্তা পেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ফিরেছেন তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা।
পরে শুরুতে ঘটনাস্থল থেকে অদূরবর্তী হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে এবং পরে নিজেদের টিম হোটেলে ফিরে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তারা শুরুতেই জানিয়ে দেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার ইচ্ছা। কেননা এমন এক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পর ক্রিকেট খেলার মানসিক অবস্থায় ছিলেন না কেউই।
আপনার মতামত লিখুন :