ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে : ৩০ বছর ধরে আরব আমিরাতে থাকেন মুহাম্মদ ইউনুছ মিয়া (৪৫)। তাঁর ভাই ইদ্রিস মিয়া থাকেন ওমানে। বাড়ীতে ছোট ভাতিজা ছাড়া আর কেউ নেই। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় আমিরাতের দুবাই হাত্তা নামক র্কমস্থল থেকে ছুটি পেয়ে দেশে আসেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে আসেন দুইটা বড় বড় চালানের প্যাকেট। প্যাকেট দুটিতে করে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য নিয়ে আসেন র্স্বণ, র্স্মাটফোনসহ নানা ধরনের উপহার সামগী। বাড়ী এসে খুব হাসিখুশিতে পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও রাতের খাবার সেরে শুয়ে পড়েন। কিন্তু দূর্ভাগ্য কে জানতো তাঁর দেশে আসার খবরে ডাকাতদল উঁখি মেরে ছিল বাড়ীর পাশে।
রাত যখন ২টা তখন পাশের বাড়ীর পরিচিত লোক ঘরের দরজা টুকরিয়ে বলেন ভাইয়েরা আমি বিপদে পড়ছি। একটু দরজা খুলে আমাকে আশ্রয় দেন। তাৎক্ষণাৎ ইউনুছ শোয়ার ঘর থেকে এসে সহজভাবে দরজা খুলে দিয়ে হতবাক হয়ে যান। দরজার বাইরে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দলের সদস্যরা তার মুখ চেপে ধরে ঘুরে ঢুকিয়ে ঘরের এক কোনায় বেঁধে ফেলেন। এভাবে পরিবারের অনু সদস্যদের হাত মুখ বেধেঁ ফেলেন। ডাকাতদল একে একে ঘর থেকে প্রবাস থেকে আনা প্যাকেক গুলো লুট পাট শুরু করেন। নিয়ে যান ১০ ভরি র্স্বণালংকার, ৬ টি র্স্মাটফোন, নগদ ১০ হাজার টাকাসহ ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চ পাড়া রওশন কেরানীর বাড়ীর আমিরাত প্রবাসি ইউনুছ মিয়া ও ওমান প্রবাসি ইদ্রিস মিয়ার ঘরে। ঘটনার পর পর রাত ৩ টার দিকে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ শফিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী নাহিদা আকতার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘরের আলমিরাতে থাকা প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণাংকার নিয়ে গেছে। হাতের বালা, কারেন দুল, লকেট, চালানের প্যাকেটের কিছুই রাখেনি। গৃহকর্তা মুহাম্মদ ইউনুছ মিয়া বলেন, গত ৩০ বছর ধরে আমিরাতে প্রবাসি হিসেবে কর্মস্থলে কাজ করে আসছি। দুই তিন বছর পর দেশে আসি। অনেক শখ করে স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য নানা উপহার সামগ্রি এনেছিলাম। কিন্তু সব নিয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :