শিরোনাম
◈ মিরপুরে আবাসিক হোটেলে ঝটিকা অভিযানে নারী-পুরুষসহ আটজন গ্রেফতার ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ  ‘শাটডাউন’ ঘোষণা (ভিডিও) ◈ আলুর দাম ৪০০ টাকায় উঠে গেছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন : প্রেস সচিব ◈ সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান যেভাবে পালিয়ে যান লন্ডনে(ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে অস্থিরতা, ভারতে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার! ◈ ‘সবাই হাসেন আর আনন্দ করেন’, আদালত চত্বরে ইনু (ভিডিও) ◈ পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সম্পর্কে আর বাধা নেই ◈ একের পর এক দাবি সামাল দিতে বেসামাল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ বগুড়ার নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন আলুর কেজি ৪০০ টাকা! ◈ সচিবালয়ে অনশনে তিতুমীরের ১৪ ছাত্র, কলেজের ফটকে ফের অবরোধ

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০১:৩৭ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০১:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাবনায় স্কুলে শ্রেণীকক্ষে বেঞ্চ সংকটে বারান্দায় পাঠদান দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

কাজী বাবলা, পাবনা: পাবনার একটি বিদ্যালয়ে বেঞ্চ ও শ্রেণীকক্ষের অভাবে বারান্দায় পাঠদান চলছে। ফলে ৩২৭ জন শিশু শিক্ষার্থীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ সংকটের কারণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিদ্যালয় ভবনের খোলা বারান্দায় মাদুরে বসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

এদিকে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনের অবস্থাও জরাজীর্ণ। দরজা-জানালার অবস্থা বেহাল। রয়েছে শিক্ষক সংকট। ফলে বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে যাচ্ছে অনেক শিশু। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন নিশ্চুপ।

জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৬ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০১-২০০২ অর্থবছরে সেখানে এলজিইডির অর্থায়নে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ হয়। স্কুলটিতে সর্বমোট ৩২৭ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে।

বিদ্যালয়ের একমাত্র পাকা ভবনের চারটি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ অফিস বানিয়ে কোন রকমে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক তাদের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আর সকালের শিফটে তিনটি কক্ষে প্রাক প্রাথমিক, ১ম, ২য় ও ৫ম শ্রেণি এবং বিকেলের শিফটে ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণির পাঠদান চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লতিকা সুলতানা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার বলেন, শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ সংকটের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই শিশু শিক্ষার্থীদের বারান্দায় বসিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা অচিরেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আরশেদ আলী বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে স্কুলটিতে। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও তারা এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেননি। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি আমি পরিদর্শন করে বেশ কিছু সমস্যা নিরুপণ করেছি। সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন আসলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়