কালাম আঝাদ: অগ্রণী ব্যাংককে সরকার এ পর্যন্ত কোনো মূলধন যোগান দিতে হয়নি। যদিও গত ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিতে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ৮৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ১৭ শতাংশ খেলাপি ঋণের ৯৫ শতাংশই মন্দ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
গভর্নর বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছ থেকে আদায় সন্তোষজনক নয়। অগ্রণী ব্যাংককে ঋণের ২০ শতাংশ এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) খাতে বিতরণ করতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংকটিকে এসএমই খাতে মোট ঋণের ২৫ শতাংশ বিতরণের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হবে।
ফজলে কবির আরও বলেন, অগ্রণী ব্যাংককে সময়মতো টেকনোলজি গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটিও নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত বলেন, অগ্রণী ব্যাংক তথা পুরো ব্যাংকিং খাত তিনটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এগুলো হলো- স্বল্প সুদে আমানত গ্রহণ, স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান এবং বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা রাখা।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে ২০১৮ সালে ব্যাংকটির ব্যবসায়িক নানা সফলতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করে অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকটি অনলাইন ব্যাংকিংয়েও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিজেকে পাইওনিয়ার দাবি করতে পারে। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৫৩টি শাখার সবকটি অনলাইন রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ব্যাংকারদের উদ্দেশে বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের বেস্ট সল্যুশন আপনাদের কাছেই রয়েছে। আমাদের অর্জনকে ভিত্তি ধরে বেস্ট পারফর্মেন্সের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে গুণী গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। গুণী গ্রাহক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও ইস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, প্রাণ গ্রুপের উজমা চৌধুরী ও উদ্যোক্তা নূরুন নাহার বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা ও উত্তরীয় দেওয়া হয়। গুণী গ্রাহকের মধ্যে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ ও উজমা চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :