শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেন? ◈ সান্তোসে নেইমারের রাজসিক প্রত্যাবর্তন ◈ আখেরি মোনাজাত চলাকালে ‘ড্রোন আতঙ্ক, আহত অন্তত ৪০ ◈ গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ ◈ সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব  ◈ বাংলাদেশের জন্য আবারও ১২০ কোটি রুপির সহায়তা বরাদ্দ রাখলো ভারত ◈ গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা ◈ ছেলের বিয়ে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আটক ◈ ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো ছড়ালেন নন্দিনী, উপহার পাঠালেন তারেক রহমান ◈ টাকা জমা রাখলে কোন ব্যাংকে কত মুনাফা পাবেন জেনে নিন

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কলড্রপ গ্রামীণফোনে’

সাজিয়া আক্তার : মোবাইলে কথা বলার সময় হঠাৎ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াকেই বলে কলড্রপ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি কলড্রপ হচ্ছে গ্রামীণফোনে। টেলিকম কমপ্লায়েন্স অনুযায়ী, মাসে কলড্রপ ২ শতাংশের মধ্যে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ গ্রামীণফোন কলড্রপ এখন ৩.৩৮ শতাংশ। তবে, প্রতিটি কলড্রপ নয়। তিনটি কলড্রপ হলে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেয় গ্রামীণফোন। খরচ বেশির অজুহাতে যন্ত্র ও তরঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না গ্রামীণফোনসহ অন্য অপারেটরগুলো। নতুন বিনিয়োগ ছাড়া টেলিকমে গ্রাহক সেবার মান রক্ষা করা সম্ভব নয়- বলছেন টেলিকম-খাত বিশেষজ্ঞরা। ডিবিসি টিভি

গ্রামীণফোন হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত জানান, জানুয়ারিতে আমরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহকদের প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন মিনিটস দিয়েছি। একইভাবে গ্রাহকদের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা ৪ মিলিয়ন মিনিটস দিয়েছি, যারা এই ক্ষতিপূরণের প্রাপ্য ছিলেন।

কিন্তু এমন নিয়মে গ্রাহক প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বলে জানান টেলিকম-খাত বিশেষজ্ঞরা।

এই খাতের বিশেষজ্ঞ রোকন-উজ-জামান জানান, ধরা যাক, একজন ডাক্তার তাঁর রোগীর সঙ্গে কথা বলছেন। সে হয়তো দশ মিনিট কথা বলবেন, কিন্তু এই দশ মিনিটের সেশনে বাজার মূল্য দাঁড়াবে এক হাজার টাকা। মাঝপথে কলটা কেটে গেল, সেক্ষেত্রে আবার তাঁকে এই সেশনটা শুরু করতে হবে। তাহলে এই বিবেচনায় গ্রাহক শুধু টকটাইমের টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না, তাঁর প্রোডাক্টিভ বাজার মূল্যও সে হারাচ্ছে। সুতরাং কোম্পানিগুলোকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কলড্রপ কমাতে হলে, যন্ত্র ও তরঙ্গে নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু খরচ বেশির অজুহাতে তা করছে না অপারেটরগুলো।

রবি হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, যদি আমাকে গড়ে একটা কল ড্রপ কমাতে হয়, সেখানে কিন্তু আমাদের একটা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। এই বিনিয়োগ আমরা তখনই করবো যখন দেখা যাবে সেখানে আমাদের একটা মুনাফার সুযোগ রয়েছে। না হলে এই বিনিয়োগের কোনও অর্থ থাকবে না।

সেই সঙ্গে, গ্রাহক সেবার মান রক্ষা করতে হলে, নতুনভাবে বিনিয়োগ করা ছাড়া উপায় নেই বলেও জানান টেলিকম খাত বিশেষজ্ঞরা। রোকন-উজ-জামান জানান, ‘যদি গ্রামীণফোনের মুনাফার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে এটা উল্লেখযোগ্য মাত্রার মুনাফা। গ্রামীণফোন মাত্র ২০০ মিনিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অথচ গত বছরেই শুধু তারা ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মুনাফা অর্জন করেছে। সুতরাং এই মুনাফার সাপেক্ষে স্পেকট্রামের দাম খুবই নগণ্য।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়