শিমুল মাহমুদ: ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে অনশনকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। একি সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দাবি মেনে নেওয়ারও আহ্বান করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীন দল নামের একটি সংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য কিরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যদি নির্বাচন বাতিল না করেন, প্রয়োজনে সাবেক ডাকসু ভিপি, জিএস ছাত্রনেতারা মাঠে নামবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে লংমার্চ করবে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের স্বপ্নের জায়গা। এখানে আপনারা যা ইচ্ছা তাই করবেন তা আমরা মেনে নেব না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লজ্জা থাকলে তিনি পদত্যাগ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা বস্তা বস্তা ভোট নিয়ে এসে গণমাধ্যমকে দেখালো। এ ডাকসু নির্বাচন এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে বাংলাদেশ সত্য বলতে আর কিছু নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষদের কে আহ্বান করে তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যে দাবি করছে তা মেনে নিন। আর মেনে নেবেন না কেন? শুধু যে বিরোধী দল বলেছে, সুষ্ঠ নির্বাচন হয়নি তা নয়। ছাত্রলীগ ও নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে শুরু কিরে পর দিন দুপুর পর্যন্ত বলেছে, এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া এমন কোন সংগঠন নাই, যারা এ নির্বাচন বাতিলের কথা বলে নাই।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা, শিল্প এমন কিছু নাই যা ভেঙে ফেলা হয় নাই। বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এই দেশ এখন অস্তিত্বের বিপন্ন মুখে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সংবিধানিক নয় জানিয়ে সাবেক এই ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, কিছু বাম দল ও জামায়াত শিবির কেয়ারটেকার প্রশ্নে তুমুল আন্দোলন করেছে বেগম খালেদা জিয়া সেই আন্দোলন শিকার করে নিয়ে সংসদে কেয়ারটেকার পাস করেছে কি মর্মান্তিক দেখেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সেই কেয়ারটেকার বাতিল করেছে চেক কোড নাকি বলেছে করতো বলে নাই এটা একটা অপব্যাখ্যা ভুল ব্যাখ্যা কোর্ট আরও দুটি নির্বাচনের কথা বলেছিল সে কথা সে রাখে নাই সেই জন্য বলি আওয়ামী লীগের যে ক্ষমতায় থাকা সেটা সংবিধানের অপব্যাখ্যা এ সরকার সাংবিধানিক ন
বর্তমান সরকার নির্বাচনী কোন ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসে নাই। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে গোয়ার্তুমির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে ছিল। তিনি কথা দিয়েছিলেন আর কোনো মামলা হামলা গ্রেফতার হবে না। কিন্তু তিনি তার সে কথা রাখেন নাই।
সিইসি নিজে স্বীকার করেছেন ইভিএম থাকলে তাতে ভোট ডাকাতি হত না অর্থাৎ ইভিএম নাই। এখন রাত্রে ভোট ডাকাতি হয় এবং একই ঘটনায় ভিসির নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে় হয়েছে।
দেশ এখন বিএনপি'র পক্ষে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন, সিটি নির্বাচন সহ যেকোনো নির্বাচনী হোক না কেনো বিএনপি আর নির্বাচনে যাচ্ছে না। দেশের জনগণও ভোট দিতে যায় না।
নেতাকর্মী দের উদ্দেশ্য করে তিনি বিলেন, হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে কোন লাভ হবে না। শুধু আন্দোলন করে দেশে স্বাধীনতা আসেনি। দেশে স্বাধীনতা আনতে লড়াইও রক্ত দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান আমলে জেল থেকে মুক্ত করা হয়েছে লড়াই ও রক্তের মাধ্যমে।
লড়াই ও রক্ত দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এটা যদি আপনি মাথায় না নিতে পারেন তাহলে ভুল হয়ে যাবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, কি সব দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আলিম হোসেন কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন আব্দুর রাজি প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :