কেএম নাহিদ : ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে অপরাধী বানিয়েছে। অসুস্থ মানুষ, শিশুদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত বানোয়াট মামলা দিয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকা
তিনি বলেন, জেলগুলোতে ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি কয়েদি। নিরাপরাধ লোকজনকে যখন এভাবে মিথ্যা মামলায় ধরা হয়, তখন বুঝতে হবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থা কতো খারাপ। গত বছরগুলোতে তাদেরকে কিভাবে ধরা হয়েছে। সা¤প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদলীয় জোটের কিছু প্রার্থী বলেছেন নির্বাচনে পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষে পরিস্কারভাবে কাজ করেছে।
হংকং ভিত্তিক বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, বাস্তবে না ঘটলেও পুলিশ হাজার হাজার অপরাধের মামলা করছে মানুষের বিরুদ্ধে। দেশেই ছিলেনা, যারা মৃতএমন সব মানুষের বিরুদ্ধে বানোয়াট মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ। বাংলাদেশে পুলিশ যেকোনো মানুষের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ছাড়াই মামলা করতে পারে, আদালতে না ওঠানো পর্যন্ত কোনো প্রমাণের দরকার হয় না।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার কয়েক বছর পর তার সরকার বিরোধীদলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে, তাতে ব্যবহার করা হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। তিনি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, কয়েক বছর আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে সমাবেশ করার সময় পুলিশ তাদেরকে লাঠিপেটা করে, তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। বর্তমানে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে ভয় পান। এই অবস্থায় এখন পুলিশ নতুন পদক্ষেপ হিসাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ মৃত ব্যক্তিদের নামে পর্যন্ত মামলা করছে। যেসব দাঙ্গা ঘটানোর নামে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে সেই সময় হয়তো সেই লোক অসুস্থ বা অন্যত্র এমনকি জেলে ছিলো। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আসলে তিনি আগেই মারা গেছেন। বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম আগস্ট মাসে মারা যান। পুলিশ তার বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরের একটি ঘটনায় মামলা করে, বললে নুরুল ইসলামের এক আত্মীয়।
আপনার মতামত লিখুন :