শিরোনাম
◈ সীমান্তে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, টেকনাফে আতঙ্কে স্থানীয়রা ◈ মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিনেত্রী টয়ার প্রতিক্রিয়া ◈ আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা মিলবে সঞ্চয়পত্রে  ◈ বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে খোলা চিঠি ভারতীয় সুধীজনদের (ভিডিও) ◈ ইকোনমিস্টের কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার বাংলাদেশ ◈ দুর্নীতির কথিত অভিযোগ নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস ◈ আজকের যুদ্ধ স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার: তারেক রহমান ◈ ফিলিস্তিনিরা হেলাফেলার যোগ্য নয়, প্রতিটি ফিলিস্তিনির জীবন গুরুত্বপূর্ণ : ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা  ◈ মুর্শিদাবাদ-মালদহ বাংলাদেশ হয়ে যাবে, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন ◈ আ. লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন বদিউল আলম

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নূরকে তার মতো করেই চলতে দেয়া উচিত

বিভুরঞ্জন সরকার : ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক আরো কয়েকদিন চলবে বলেই মনে হচ্ছে। নব নির্বাচিত ডাকসু সহ-সভাপতি নুরুল হক নূরকে নিয়েও টানাটানি চলবে বলে মনে হচ্ছে। নূর কোটা আন্দোলনের নেতা হিসেবেই পরিচিত এবং জনপ্রিয়। তিনি যে ডাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হতে পারেন সে সম্ভাবনার কথা ক্যাম্পাসে আগেই শোনা গিয়েছিলো। সম্ভাবনাটা বাস্তবে পরিণত হওয়ার পর তার অতীত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন তিনি জামায়াত-শিবির সমর্থক, আবার কেউ কেউ তথ্য দিচ্ছেন যে নূর ছাত্রলীগের হল কমিটির নেতা ছিলেন।

নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে তার রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো প্রশ্ন ছিলো না। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে নূরের ভূমিকার ওপর আস্থা রেখেছে, তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে । তার বিজয়ে ছাত্রলীগ প্রথমে খুশি না হলেও পরে বাস্তবতা মেনে নিয়েছে। এখন নূর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর নির্বাচিত প্রতিনিধি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে কথা বলার অধিকার তিনি অর্জন করেছেন। ছাত্রলীগ ডাকসু এবং হল সংসদে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও নূরকে নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সমর্থন লাভে যারা ব্যর্থ হয়েছেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নূরকে নিজ নিজ পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। ক্যাম্পাসের বাইরের সরকার ও আওয়ামী লীগ বিরোধী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিরা ডাকসু নির্বাচনকে ‘কলঙ্কিত’ উল্লেখ করে নূরকে ভিপি পদের মোহ ত্যাগের পরামর্শ দিচ্ছেন। নানমুখী টানাটানিতে নূর যে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সেটা তার স্ববিরোধী বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হচ্ছে।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল,বাম ছাত্র সংগঠনসহ যতোগুলো ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে তাদের কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি। নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগ এবং কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বহির্ভূত প্রার্থীরা। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রত্যাখ্যাত ছাত্র সংগঠনগুলো বিজয়ী প্রার্থীদের তাদের ‘আন্দোলনে’ সঙ্গে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষ করে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নূরকে নির্বাচনে ফলাফল না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্ররোচনা দিচ্ছে। নূরকে যারাই দায়িত্বগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য প্ররোচিত করছেন তাদের সবারই উদ্দেশ্যের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। তারা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি করে সরকারকে চাপে ফেলতে চায় বলে মনে করার কারণ রয়েছে। যাদের ডাকে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেয় না তারাই তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যপূরণ করতে চাইছে নূরের ওপর ভর করে। নূরের উচিত হবে না কারো হাতের পুতুল হওয়া।

নূরকে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ইমরান এইচ সরকারের পরিণতির কথা মনে রেখে বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাইরে থেকে যারা নানা ধরনের উস্কানি কিংবা প্ররোচনা দিচ্ছেন তারা আসলে নূরের হিতাকাক্সক্ষী কীনা সেটা তাকেই বুঝতে হবে। নূরের সামনে একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন মাথা গরম করে তিনি এই সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটাবেন কীনা সে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। তার আগে ডাকসুর ভিপি পদে আরো অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সবাই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশীদার হতে পারেননি। ইতিহাস প্রতিদিন তৈরি হয় না। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিও একইভাবে বারবার হয় না।

লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়