স্মৃতি খানম: লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, বিমানবন্দরটি নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এখানে বিমান মেরামত ও কারখানা তৈরির কথা ভাবছে সরকার। এসব বিষয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বিমান বাহিনী প্রধান পরিদর্শনে এসেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটে আন্তর্জাতিকমানের এ বিমানবন্দরটি অবহেলা আর অযত্ন পড়ে রয়েছে ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে। ১৯৩১ সালে লালমনিরহাটের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে বৃটিশ সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ বিমানবন্দরটিই ছিল মিত্র বাহিনীর একমাত্র ভরসা স্থল। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই নিস্তব্ধতায় ডুবে যেতে থাকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি। তবে ১৯৫৮ সালে পুনরায় বিমান সার্ভিস চালু হয়। কিন্তু সেসময় আশানুরুপ যাত্রী না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিমান চলাচল। ফলে ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক (বিমান রাখার জায়গা), হ্যাংগার (বিমান গ্যারেজ) ও ট্যাক্সিওয়ে এগুলো সবই এখন পরিত্যক্ত। অব্যবহৃত হওয়ায় এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরে ১৯৮৩ সালে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ এখানে কৃষি প্রকল্প গ্রহণ করে, যার কার্যক্রম এখনো চলছে।