নিউজ ডেস্ক : অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছেন। তারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এসব ব্যবসায়ীদের সহায়তাকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।-বাংলা ট্রিবিউন
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের অসৎ কর্মকর্তাদের বের করা কঠিন হবে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কোনও অদক্ষ ও অসৎ কর্মকর্তার জায়গা হবে না। সবাই ভালো কাজ করলেও এর মধ্যে একজন অসৎ থাকলে সব অর্জন ম্লান হয়ে যায়। বর্তমানে সরকারের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি চলতি অর্থবছরে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ হবে। এখন পর্যন্ত জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ রয়েছে।’
দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের শপথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আরও একদিন আসবো। সেই দিন সব ব্যাংক কর্মকর্তাকে শপথ পড়াবো। নিজে দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতেও দেবো না। যারা শপথ পড়তে পারবেন না তারা শপথ অনুষ্ঠানে আসবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে। আমরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ধরবো। তবে আমরা কোনও ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠাবো না, যদি তারা স্বীকার করে এবং আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দেয়। আর আসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তারাও রয়েছে। তাদেরও ধরা হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অনেক লোক অনেক তদবির নিয়ে এসেছেন, আমি সেই তদবির শুনিনি। আমি বলেছি এসব তদবিরে কাজ হবে না। যোগ্য লোকদের ব্যাংকে পাঠানো হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অটোমেশন পদ্ধতি বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে অটোমেশন করতে হবে। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ৭৩ হাজার কোটি মানুষ ই-মেইল চালাচালি করে এবং নেট ব্রাউজ করে ৪ হাজার ২০০ কোটি মানুষ।’
আপনার মতামত লিখুন :