মঈন মোশাররফ : কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, শুধু ছাত্রলীগ নয়, ছাত্রদল বা বামজোট কারোর প্রতিই সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখন আর আগ্রহ নেই, তা এই নির্বাচনেই দেখা গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ শিক্ষার্থীদের কোনো আন্দোলনেই রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো ভূমিকা রাখেনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যখন নির্যাতনের শিকার হয়েছি তখন আমাদের পাশে কেউ ছিলোনা। আমরাই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ করে প্রতিবাদ করেছি, মাঠে থেকেছি। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের মূল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারে না। তারা লেজুড়বৃত্তি করে। তারা এর জবাব পেয়েছে।
তিনি জানান, শত প্রতিক‚লতার মধ্যেও কোটা সংস্কার নেতারা ভিপিসহ ডাকসুতে দুটি পদে জয়ী হয়েছেন। বেশ কয়েকটি হলে আমরা পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছি। নির্বাচনে অনিয়ম না হলে আমরা ডাকসুর সব পদে জয়ী হতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর নবনির্বাচিত এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা আগেও বলেছি শিক্ষার্থীদের রায় আমরা মেনে নেবো। আমরা ডাকসুর ফল মেনে নিয়েছি। তবে আমরা মনে করি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়েছে। সেটা না হলে আমরা নিরঙ্কুশ জয় পেতাম।
তিনি দাবি করেন, কুয়েত মৈত্রী হলে যে সিল মারা ব্যালট পেপারের কথা বলা হচ্ছে ওগুলো জাল, ভুয়া ব্যালট পেপার। এটা করা হয়েছে আমাদের হারানোর জন্য। মৌলবাদী ও স্বৈরাচারী শক্তি এটা করেছে। ছাত্রদের সেন্টিমেন্টকে গুজব দিয়ে প্রভাবিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ সব পদে জয়ী না হতে পেরে হতাশ হলেও তাদের বোঝানো হয়েছে যে, এটি আসলে তাদের অনেক বড় জয়। কারণ ডাকসুতে অতীতে সরকার সমর্থক কোনো ছাত্র সংগঠন কোনো পদেই জয় পায়নি। সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ডাকসুর ২৫ পদের ২৩টিতে এবং অধিকাংশ হল সংসদে জয় একটি রেকর্ড। আর সরকারের নীতি নির্ধারণ মহল থেকেও তাদের এতেই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :