শিরোনাম
◈ নভেম্বরে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৯০০ কোটি টাকা ◈ স্বামীকে বললেন- আমাকে গুলি করো, না হয় আমিই করবো: একজন ‘বিদ্রোহী’ মুসলিম প্রিন্সেসের কাহিনী ◈ চাকরির কথা বলে ভারতে ‘যৌন ব্যবসায়’ বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের!(ভিডিও) ◈ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ডুকতে মানাসহ ১০ নির্দেশনা ◈ চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ◈ মোটরসাইকেল চলাচলে ডিএমপির কঠোর নির্দেশনা ◈ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ◈ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সক্রিয় রিকশাচালকদের আন্দোলনে ◈ গভীর রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ও বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজপথ (ভিডিও) ◈ আইজিপির বাসায় ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫৭ রাত
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক ভারত

নূর মাজিদ : ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে ভারত। এই সময় সৌদি আরব ছিলো বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক। গত সোমবার স্টকহোমে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউড-সিপ্রি এসব তথ্য জানায়। বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় এবং অস্ত্র ব্যবসায়ের চিত্র তুলে ধরতেই সংস্থাটির এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ। দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া

বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয় প্রতিবেশী দেশটির অস্ত্র আমদানির চিত্র তুলে ধরে সিপ্রি। ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ ২০১৪-১৮ সালে সারা বিশ্বে যত সমরাস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম বিক্রি করা হয়েছে, তার ৯ দশমিক ৫ শতাংশের গন্তব্য ছিলো ভারত। এর আগে ২০০৯-১৩ সালে ভারতের সমরাস্ত্র আমদানির বার্ষিক পরিমাণ কিছুটা কমে এসেছিলো। মূলত, বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে নির্ধারিত সময়ে সমরাস্ত্রের চালান আসতে দেরী হওয়ার কারনেই এমনটি হয়েছে। বিশেষ করে, ২০০১ সালে রাশিয়া থেকে কেনা ফাইটার জেটগুলোর ডেলিভারি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শেষ হয়। ২০০৮ সালে ফ্রান্স থেকে কেনা সাবমেরিনের চালান আসতেও বেশ সময় লেগে যায়।

সিপ্রি জানায়, গত বছরের শেষ নাগাদ সৌদি আরব মোট বিক্রি হওয়া অস্ত্রের ১২ শতাংশ আমদানি করে। তাদের আমদানিকৃত সমরাস্ত্রের অধিকাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো থেকে। ভারতের ক্ষেত্রে এই চিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম। এখানে রাশিয়াই এগিয়ে। ২০১৪-১৮ মেয়াদে দেশটি ভারতের সামরিক বাহিনীগুলোর জন্য আমদানিকৃত অস্ত্রেও ৫৮ শতাংশ সরবরাহ করে। অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় এই অস্ত্র রফতানির পরিমাণ অনেক কম।

২০০৯-১৩ সালে রাশিয়া ভারতের মোট অস্ত্র আমদানির ৭৬ শতাংশ পূরণ করতো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনকে মোকাবেলায় গঠিত ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক বন্ধন দেশটিকে পশ্চিমা অস্ত্র ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে। এছাড়াও, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্যেও বিপুল পরিমাণ পশ্চিমা অস্ত্র কেনা হয়েছে। এই সকল কারণে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স ভারতের সমরাস্ত্র বাজারে নিজেদের রফতানি বাড়িয়েই চলেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ লংরেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, চারটি স্টিলথ করভেট, একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনসহ আরো অনেক বড় বড় অস্ত্রক্রয় চুক্তি করেছে ভারত। তাই ভারতের বাজারে রাশিয়ার অস্ত্র রফতানি ২০১৯ সাল থেকেই ফের উঠতির দিকে অবস্থান করবে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৪-১৮ সালে বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানির মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ কিনেছে ভারতের চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। চীন থেকেই দেশটি তার অধিকাংশ অস্ত্র আমদানি করে। সিপ্রি জানায়, দেশটির ৭০ শতাংশ অস্ত্রই চীন থেকে কেনা হয়েছে। এই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়