শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ 'আ. লীগের বিচার না করলে জনগণ আবার আন্দোলনে নামবে' (ভিডিও) ◈ বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট (ভিডিও) ◈ দেশের সব মেডিকেল কলেজে সোমবার ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ◈ এবার জামায়াতের আমীরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিবির ◈ জুনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে নেপাল ◈ চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি; ভুক্তভোগী নারীর লোমহর্ষক বর্ণনা! ভিডিও ◈ মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে: ছাত্রদল

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরত্ব, দাম পাচ্ছেন না মৌ চাষীরা, শুরুতেই হুমকির মুখে দেশের সম্ভাবনাময় মধু খাত

মতিনুজ্জামান মিটু : এতে শুরুতেই হুমকির মুখে পড়েছে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই এই খাত। স্থানীয় বাজারের প্রকৃত অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর মো. আহসানুল হক স্বপন জানালেন, চাহিদা পূরণে দেশে আনুমানিক ৭০ ভাগ মধু আমদানী করতে হয়। এতে অসম প্রতিযোগীতায় পড়ে দেশের মৌ চাষীরা পেরে উঠছেন না। স্থানীয় উৎপাদন মৌসুমে অনেক কম দামে মধু বিপনন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রতিকুল অবস্থার মুখে পড়ে অনেকে ২০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন তাদের কষ্টের উৎপাদিত মধু। এদিকে মধুর সুনির্দিষ্ট দাম নির্ধারিত না থাকায় হতাস হচ্ছেন মৌ চাষীরা। দেশের মৌ চাষীদের উৎপাদিত মধুর ৩৪ ভাগ স্থানীয় বাজারে, ৩২ ভাগ পাইকারী বাজারে, ২৫ ভাগ খুচরা বাজারে ও ৮ ভাগ বিসিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আয়োজিত বিভিন্ন সময়ের মেলায় বিক্রি হয়।

বাংলাদেশের মধুর চিত্র তুলে ধরে এই মধু বিশেষজ্ঞ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মৌবাক্স থেকে মধু উৎপাদন হয় মোট ১০৫৬.৯৪৯ মেট্রিক টন। আর ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৭৪৩.৯৬৩ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। সরিষা, কালোজিরা, পেঁয়াজ, ধনিয়া, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে কাঠের বক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করা হয়।

বর্তমানে দেশে আনুমানিক ৩,০০০ থেকে ৪০০০ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। দেশের মোট উৎপাদনের ২০ ভাগ মধু আসে সুন্দরবন থেকে। দেশের ২৫,০০০ মৌচাষীর মধ্যে ১০০০ জন বাণিজ্যিকভাবে মৌচাষ করে। এপি, ট্রপিকানা, কিছু এনজিও এবং ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু মধু রপ্তানী হলেও তার কোনো হিসেব নেই। দেশের বছরে ২৫০০০ থেকে ১০০০০০ মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্যিক বিপননের ক্ষেত্র তৈরী করা গেলে ওই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে তথা রবি ফসলের দিকে তাকালে দেখা যায় এখানে অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, শরিয়তপুর ও বি-বাড়িয়া এলাকা জুড়ে সরিষার চাষ হয়। পাবনা, চাপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, নাটোর, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামে লিচু বাগান রয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ, নাটোর, শরিয়তপুর, নড়াইল ইত্যাদি অঞ্চলে কলাই, গুজিতিল, তিল, রাই, সরিষা, কালজিরা ও ধানিয়ার চাষ হয়। এই সঙ্গে কুল, সজিনা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি এবং আঁশ জাতীয় ফসল থেকে অল্প পরিমাণ মধু উৎপাদিত হচ্ছে। এসব উৎসে রয়েছে অফুরন্ত মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা। যা থেকে আমরা পেতে পারি হাজার হাজার মেট্রিক টন মধু এবং এসব মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানীর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। উপরন্ত সুন্দরবন থেকে আমরা প্রতি বছর পেতে পারি ৫০০ থেকে ১০০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মধু। এসব মধুকে আমরা অর্গানিক হ্যানি হিসেবে বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর সুযোগ করতে পারি।

তবে এসব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে যদি না আমরা সব জটিলতা কাটিয়ে দাম নির্ধারিত করে চাষীদের হাতে তার উৎপাদিত মধুর দাম তুলে দিতে না পারি বললেন প্রফেসর স্বপন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়