সৌরভী রায়,জবি সাংবাদিক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বায়োগ্যাস প্রকল্পের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে এ প্রকল্পটি গ্রাহক পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
গ্রাহকরা বলেছেন,বায়োগ্যাস ব্যবহারে সহজ বোধ্যতা আর জ্বালানী খরচ সাশ্রয়ের কারনে মূলত গ্রাহক পর্যায়ে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং গ্রাম পর্যায়ে বায়োগ্যাসের উপকারিতা সম্পর্কে ব্যাপক সচেনতা তৈরির ফলেই প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহ নিচ্ছে তারা। সেই সাথে সহজ শর্তে ঋন সুবিধা আর গ্রাহক পর্যায়ে সরকারি ভর্তুকির বিষটি বিবেচনায় নিয়ে সবাই এতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
গ্রাহকরা আরও জানায়, বায়োগ্যাস স্থাপনের ফলে দৈনন্দিন রান্না-বান্না নগর জীবনের মত গ্রাম অঞ্চলেও বেশ সহজ হয়ে গেছে। সেই সাথে বায়োগ্যাসে ব্যবহৃত গোবর বা মুরগির বিষ্ঠা থেকে তারা উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার এবং মাছের খাবার পাচ্ছে। এতে করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে খরচ কমেছে।
উপজেলার দক্ষিণ রানিগঞ্জের বায়োগ্যাসের গ্রাহক নবী হোসেন বলেন, আমি গোবর নির্ভর বায়োগ্যাস স্থাপন করেছি। আগে গোবর ফেলে দিতাম। এখন এ গোবর থেকেই গ্যাস পাচ্ছি। এতে করে আমার জ্বালালী খরচ সাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি বায়োগ্যাসে ব্যবহৃত গোবর জৈব সার হিসেবে সংরক্ষন করছি। এছাড়া আমাদের কেউ কেউ প্লান্টের গ্যাস আবার অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়ে পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করছে। তিনি বলেন, এক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বায়োগ্যাসের উপকারিতার কথা জানতে পারি। এরপর কর্মকর্তাদের কথায় আস্থত্ব হয়ে আমি বায়োগ্যাস স্থাপন করি। প্লান্ট নির্মান থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই কর্মকর্তারা নিয়মিত দেখভাল করেছে।
পাবীয়াজুড়ি গ্রামের ইলিয়াস মোল্লা বলেন, আমার প্লান্টটি মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে চলে। এতে উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে নিজের রান্না-বান্নার পাশাপাশি জেনারেটরের সাহায্যে খামারে লাইট ও ফ্যান চালাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম সরকারি কাজ অনেক ঝামেলার। কিন্তু কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা এবং প্রতিশ্রুতি পেয়ে প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহী হই। প্লানের কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিয়মিতই আমার এখানে ভিজিট করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ক্রেডিট এন্ড মার্কেটিং অফিসার ইমরান আহমেদ বলেন, বায়োগ্যাসের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রকল্পের আওয়াধীন এলাকায় নিয়মিত উঠান বৈঠক করছি। এতে করে এলাকায় মানুষের মধ্যে বায়োগ্যাস স্থাপনে আগ্রহ বাড়ছে। প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহীদের আমরা সরকারি ভাবে কারিগরি ও আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি তাদেরকে সহজ শর্তে ঋন সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করি ।
তিনি বলেন, প্রকল্পের লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা নিয়মিত সম্মানিত ডিসি স্যারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা পাচ্ছি। সেইসাথে জেলার সম্মানিত ডিসি স্যার এবং উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগীতায় আমাদের লক্ষ পূরনে এগিয়ে যাচ্ছি। গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়মিত সেবা দিতে আমরা অঙ্গিকার বদ্ধ।
আপনার মতামত লিখুন :