।আব্দুল্লাহ আল আমিন, ময়মনসিংহ : পবিত্র কোরআন শুদ্ধরূপে তেলাওয়াত ও ইসলামিক শিক্ষা বিকাশে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ শিরোনামে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ (এএফবিএল) এর আয়োজনে ময়মনসিংহে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ রবিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় ময়মনসিংহ টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ বিজয়ী উত্তীর্ণ প্রতিযোগীকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়। ময়মনসিংহে ইসলামিক সংস্কৃতির নিদর্শন বিজড়িত অঞ্চলে রবিবার মহানগরীর টাউন হলে বাছাই পর্বে নগরীর বিভিন্ন মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে ২৩ জন প্রতিযোগী নির্বাচিত করা হয় যাদের মধ্য থেকে সেরা ছয়জন ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজের (এএফবিএল) উদ্যোগে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামের মূল্যবোধ ও নৈতিক আদর্শ তৈরিতে ভুমিকা রাখছে বলে আয়োজকগণ মনে করেন। আয়োজকরা আরো জানান প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী প্রতিযোগী ৫ লাখ, দ্বিতীয় প্রতিযোগী ২ লাখ ও তৃতীয় বিজয়ীকে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি উত্তীর্ণদের স্কলারশিপের সুযোগ প্রদান করা হবে। এএফবিএলের সহকারি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, শিশুদের মাঝে শুদ্ধ ইসলামিক মানবিক মূল্যবোধ বিকাশ ও জাগ্রত করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে নবীন শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ধর্মীয় বিষয়ে নিজেদের পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
ময়মনসিংহের বাছাই পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, ইসলামী সংগীত শিল্পী জাফর সাদেক এবং এটিএন বাংলার এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্বারী একেএম ফিরোজ। চলতি মাসের মধ্যে বগুড়ায় ১৩ মার্চ, রাজশাহীতে ১৬ মার্চ , খুলনয় ১৯ মার্চ এবং ঢাকা বিভাগে ২২ মার্চ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আয়োজকরা। আঞ্চলিক সেরা প্রতিযোগিদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় আয়োজন করা হবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই ইসলামী প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্ব। দেশের নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী আদর্শ তুলে ধরার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। আয়োজকরা বলছেন প্রতিযোগিতাটি শিশুদের মানবিক বিকাশে অবদান রাখছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছে। উলে¬খ্য, বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ১২-১৮ বছর বয়সী যেকোনো শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারার সুযোগ পায় এবং যারা ক্বিরাত, ইসলামিক জ্ঞান, হামদ-নাত এবং আযান এ সমানভাবে পারদর্শী হবে।
আপনার মতামত লিখুন :