সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেটে পতিত জমিতে ও নদীর চরে চাষ করে আলুর বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে ফলন তোলা পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়াতে পচন ধরেনি আলুতে। ফলে এবার আশানুরূপ বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি চাষীদের।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের হিশেবে এবার সিলেটের চার জেলায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। সিলেটের মানুষ এক সময় আলু চাষে বিমুখ ছিল। আলুতে লাল উই পোকার আক্রমণে ফসল হানী ঘটত। ফলে টাকা খরচ করে চাষাবাসের পর ফলন ঘরে তোলা যেত না। তাই স্থানীয় চাষীরা আলু চাষ থেকে সরে পড়ে। এবার আধুনিক প্রযুক্তর ব্যবহারে চাষাবাসে কৃষকদের উৎসাহিত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা। আর তাতেই আলুতে দ্বিগুণ ফলন ঘরে তুলেন চাষীরা।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের দেয়া তথ্যে সিলেটের চার জেলার মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুমানগঞ্জে ও সিলেটে আলুর চাষাবাস হয়েছে। বিভাগের মোট সাত হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন করা হয়। সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে হবিগঞ্জ জেলায়। দ্বিতীয় অবস্থানে মৌলভীবাজার। সিলেটে এবার ৯৮৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এতে ফলন তোলা হয় দুই হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। মৌলভীবাজারের দুই হাজার ১২৬ হেক্টর জমি থেকে ফলন পাওয়া গেছে ৩২ হাজার ১৩২ মেট্রিক টন। হবিগঞ্জ জেলায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে ফলন হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। আর সুনামগঞ্জের এক হাজার ৬১৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাস করে উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ১৭৯ মেট্রিক টন।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. ইলিয়াস বলেন, সিলেটের মানুষ আলু চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে। আলুতে পোকার আক্রমণ ও লাল উই পোকা আলু খেয়ে ফেলত। গত দুই বছর ধরে আমারা আলু চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছি। তাই এবার সিলেটে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া মৌসুমে বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ফলে আলুতে পচন ধরার সুযোগ বা গাছ মরে পচে যায়নি। এতে ফলন প্রায় দ্বিগুন হয়েছে সিলেটে।
আপনার মতামত লিখুন :