শিরোনাম
◈ বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আরব আমিরাতকে পাশে চায় ঢাকা চেম্বার ◈ দিনমজুরের সন্তান অয়ন্ত বালা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে সুযোগ পেলো ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার ১৯টি খাল সংস্কার করা হবে: উপদেষ্টা ◈ ভারতের প্রতি বাংলাদেশের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই না : জয়শঙ্কর ◈ ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা ◈ জাতিসংঘের প্রতিবেদন হাসিনার আন্তর্জাতিক বৈধতাকে আরো দুর্বল করবে ◈ যে কারণে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয় হুমায়ূন আহমেদের প্ল্যাকার্ড! ◈ ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছেন শিবির সভাপতি (ভিডিও) ◈ এক ওভারে ১১ বল, শামির লজ্জার রেকর্ড, শীর্ষে বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার ◈ কেনো অন্য দলের খেলায় ভারতের জাতীয় সংগীত বাজলো, পাকিস্তান ব্যাখা চাইলো আইসিসির কাছে

প্রকাশিত : ১০ মার্চ, ২০১৯, ১১:২১ দুপুর
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০১৯, ১১:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটের পতিত জমিতে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে

সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেটে পতিত জমিতে ও নদীর চরে চাষ করে আলুর বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে ফলন তোলা পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়াতে পচন ধরেনি আলুতে। ফলে এবার আশানুরূপ বাম্পার ফলন হয়েছে বলে দাবি চাষীদের।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের হিশেবে এবার সিলেটের চার জেলায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। সিলেটের মানুষ এক সময় আলু চাষে বিমুখ ছিল। আলুতে লাল উই পোকার আক্রমণে ফসল হানী ঘটত। ফলে টাকা খরচ করে চাষাবাসের পর ফলন ঘরে তোলা যেত না। তাই স্থানীয় চাষীরা আলু চাষ থেকে সরে পড়ে। এবার আধুনিক প্রযুক্তর ব্যবহারে চাষাবাসে কৃষকদের উৎসাহিত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা। আর তাতেই আলুতে দ্বিগুণ ফলন ঘরে তুলেন চাষীরা।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের দেয়া তথ্যে সিলেটের চার জেলার মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুমানগঞ্জে ও সিলেটে আলুর চাষাবাস হয়েছে। বিভাগের মোট সাত হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন করা হয়। সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে হবিগঞ্জ জেলায়। দ্বিতীয় অবস্থানে মৌলভীবাজার। সিলেটে এবার ৯৮৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এতে ফলন তোলা হয় দুই হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। মৌলভীবাজারের দুই হাজার ১২৬ হেক্টর জমি থেকে ফলন পাওয়া গেছে ৩২ হাজার ১৩২ মেট্রিক টন। হবিগঞ্জ জেলায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে ফলন হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। আর সুনামগঞ্জের এক হাজার ৬১৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাস করে উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ১৭৯ মেট্রিক টন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. ইলিয়াস বলেন, সিলেটের মানুষ আলু চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে। আলুতে পোকার আক্রমণ ও লাল উই পোকা আলু খেয়ে ফেলত। গত দুই বছর ধরে আমারা আলু চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছি। তাই এবার সিলেটে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া মৌসুমে বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ফলে আলুতে পচন ধরার সুযোগ বা গাছ মরে পচে যায়নি। এতে ফলন প্রায় দ্বিগুন হয়েছে সিলেটে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়