নুর নাহার : লক্ষ্মীপুরে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে নাজেহাল সিএনজি অটোরিকশা চালক ও মালিকরা। তাদের অভিযোগ, চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাদের করা হয় নির্যাতন ও হয়রানি। চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ-সমাবেশও করেছেন তারা। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি
লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি সড়কে চলাচল করে প্রায় ১০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা। চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি সড়কেই আছে চাঁদা তোলার একাধিক স্পট। এক একটি স্পটে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের স্লিপে চাঁদা তোলা হয় বলে জানান চালকেরা। চাঁদা না দিলে কিংবা দিতে দেরি হলেই অটোরিকশা আটকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ অনেকের। চাঁদাবাজি চক্রের পেছনে প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে দাবি তাদের। ভুক্তভোগি চালকরা বলেন, মেইন রোড থেকে নিচে যতো শাখা রোড আছে প্রত্যেক স্টান্ডে আমাদের থেকে টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেক মাসে মাসে ২০০/৩০০ করে টাকা নেয়। রাস্তায় যারা থাকে তাদের চাঁদা না দিলে গাড়ি সড়কে দাঁড় করিয়ে রেখে নেতাকে ফোন দেয়। নেতা পুলিশকে জানাতে বলে, তখন আমাদের আরো ২/৩ হাজার টাকা লাগে।
সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি ঠেকানো না গেলে বড় ক্ষতির শঙ্কা পরিবহন মালিকদের। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে কাজ চলছে বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে চালকদের কাছে চাঁদা দাবি করলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অথবা সরাসরি আমাকেও ফোন করে জানানোর জন্য আপনাদের মাধ্যমে তাদেরকে অনুরোধ করছি। চাঁদা না দিতে পরিবহন চালকদের সচেতন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে সভা করেছে বলেও জানালেন পুলিশ সুপার।
আপনার মতামত লিখুন :