রুহুল আমিন : আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংগ্রাম লড়াই করতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত। প্রত্যেকটা সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে যেটা আমরা ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছি। তার মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি।
শনিবার ডিবিসি টেলিভিশনের উপসংহারে তিনি আরো বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ হচ্ছে আমাদের সংবিধানের মূলভিক্তি। ৭ই মার্চের ভাষণ যদি সবার মাঝে ধারণ না করতে পারি তাহলে তরুণ প্রজন্মরা কোথায় যেনো হারিয়ে যাবে। তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে বড় জায়গায় উঠবে। স্বপ্ন দেখার বড় জায়গায় মানুষ পৌছতে পারে। তার চিন্তা চেতনায় মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের কাছ থেকে তার দেনা পাওনার অনেক কিছু শিখার রয়েছে। এখন যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমার রাষ্ট্র আমাকে কী দিচ্ছে। কোথা থেকে আমার রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। সেটা জানতে হলে আমার রাষ্ট্রের ভিত্তিটাই হলো সংবিধান। সেই সংবিধানই যদি সবাইকে জানতে হচ্ছে তাহলে সংবিধানের চারটি মূলনীতি কোথা থেকে আসলো সেটা জানবার আগ্রহ থাকতে হবে। গণতন্ত্র,বাংঙ্গালী জাতীয়তাবাদ,সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষ এই চারটির অর্থ যদি বুঝতে হয় তাহলে আমাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যদি বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়বো না। তাহলে তারা মুক্তিযুদ্ধকে মানছে না এবং মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করছে না। তাহলে সংবিধানেরও কোনো মূল্য নেই। সংবিধানের মূল্য না থাকলে রাষ্ট্রের সাথে আমাদের কোনো ভিত্তি থাকে না। তরুণ প্রজন্মকে এটা বুঝাবার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আরো বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, দেশ প্রেমের ইতিহাস, দেশ প্রেমের জাগ্রতের ইতিহাস আমাদের সিলেবাসে কতটুকু আছে সেটা ভাববার বিষয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো ধর্ম নিরপেক্ষবাদ। আমাদের তরুণ প্রজন্মরা অনেক দিন ধরে ধর্মনিরপেক্ষবাদের কথা শুনেইনি। এটা তাদের কাছে এলিয়েন বলে মনে হয়। ভিন্ন গ্রহ থেকে আসা যেনো একটা ব্যাপার মনে হয়। অনেক বার আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা যাচ্ছি কিন্তু ছোট ছোট ফাঁক গুলো রয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :