জাবের হোসেন : নাফ নদীর তীরে ১শ একরের বেশি জায়গায় গড়ে উঠেছে জুলস পাওয়ার লিমিটেড সোলার পার্ক। টেকনাফে ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ আলো ছড়াচ্ছে। একটা সময় কেবল লবণ চাষে ব্যবহৃত জমিতে উৎপাদিত হয় বিদ্যুৎ। এক রকম ধারণার বাইরে থাকা এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩শ কোটি টাকা। এই প্রকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে এগিয়ে দিয়েছে আরো একধাপ। স্রেডা বলছে ২০২১ সাল নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ রকম বেসরকারি উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে। চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর
২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই পার্ক থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাচ্ছে এলাকার অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের। যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। জলুস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূহার এল খান বলেন, আগামীতে আমাদের এই নবায়োনযোগ্য আরো বাড়বে। এবং এটার ধাড়ণ ক্ষমতাও বারবে ইনশাল্লাহ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, আমরা গত দুই বছরে খুব একটা এগুতে পারিনি। সরকার বলেছেন সব মিলিয়ে ১০% আমরা রেনিউবেল করবো আমরা এখনো সে আস্থায় আছি।
সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো জমি। যা কয়েকগুণ বেশি দরকার হয় অন্য জ্বালানিভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণের চেয়ে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতি মেগাওয়াট গড় খরচও তুলনামূলক বেশি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনতে গুণতে হয় গ্যাস, কয়লা কিংবা ফার্নেস তেল পুড়িয়ে পাওয়া বিদ্যুতের চেয়ে বাড়তি টাকা। তাই ভবিষ্যতের জন্য এটা কতোখানি সাশ্রয়ী এবং টেকসই হবে সে প্রশ্ন বিশ্লেষকদের।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলেন, সৌর বিদ্যুৎ থেকে যদি ২০ মেগাওয়াট আসে। এক সময় হঠাৎ আকাশ মেগাচ্ছন্ন হয়ে গিয়ে সেটা ১০ মেগাওয়াটে চলে আসলো, তখন বাকি ১০ ওয়াচ কোথায় পাবো। সৌর বিদ্যুতে এই সমস্যটা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :