রাশিদ রিয়াজ : ভারতের কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামি নিষিদ্ধ করার পর রাজনৈতিক দলটির সম্পত্তি ক্রোক করতে শুরু করেছে দেশটির সরকার। জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন জামায়াতের সাড়ে ৩ শতাধিক কর্মীকে শুক্রবার গ্রেফতার করে। কাশ্মীরে অনেক স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ পরিচালনা করে আসছিল জামায়াত। কোলকাতা ২৪ এখবর দিয়ে বলেছে, জামায়াতের কাছে এখন ৪৫০০ কোটির থেকেও বেশি সম্পত্তি আছে। ওই সম্পত্তিতে ৪০০ স্কুল, ৩৫০ মসজিদ আর এক হাজারের ও বেশি মাদ্রাসা আছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্যে পাকিস্তান, হুরিয়ত কনফারেন্স ছাড়াও স্থানীয় মানুষ সাহায্য করত।
ভারতীয় এ মিডিয়া আরো বলছে, জামায়াতে ইসলাম কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করার কাজ করে চলেছিল। তাদের ধারণা এটাই যে, কাশ্মীরের উন্নতি ভারতের সাথে থেকে হবেনা। কাশ্মীরের অনেক জঙ্গি সংগঠনই জামায়াতের ওই মাদ্রাসা আর মসজিদে আশ্রয় নিত।
এদিকে ভারতের পিডিপি নেত্রী এবং জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জামায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকার জামায়াতের উপরে যেমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তেমনই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উপরেও যেন করে।
কাশ্মীরে জামায়াতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে ব্যাপক তল্লাশি। জামায়াতের টাকায় হিজবুল মুজাহিদিন চালানো হয় বলে অনুমান ভারতীয় গোয়েন্দাদের। শনিবার সকালে জামায়াতের কার্যকলাপ চলত এমন ৭০টি জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই সংগঠনের অন্তত ৫২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন জামায়াতের নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ সংক্রান্ত ভারতীয় আইনের আওতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কাশ্মীরের আর কোথায় কোথায় ওইসব নেতাদের সম্পত্তি আছে, সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পর থেকেই এই সংগঠনের উপর জোরদার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে জামায়াত নানাবিধ অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যা দেশ এবং সমাজের পরিপন্থী। কাশ্মীরের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকেও নিয়মিত সাহায্য করে এই জামায়াত।
আপনার মতামত লিখুন :