জাবের হোসেন : নিয়মনীতির তোয়াক্কা ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অটোরিকশাতেও ব্যবহার হচ্ছে এসব সিলিন্ডার। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রাণহানির শঙ্কাও আছে। মৃত্যুকে হাতে নিয়ে চলছে রংপুর, ভোলা, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থানে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রি ও ব্যবহার। এই সিলিন্ডারের বেশিরভাগেরই নেই মেয়াদ, আবার কোনটির ব্যবহারে একেবারেই অযোগ্য। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, অগ্নি নির্বাপক সক্ষমতা ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স থাকতে হবে। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে এসব কিনছেন ক্রেতারা। চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর
একজন ক্রেতা বলেন, সিলিন্ডার কোম্পানিগুলো কখনো বলেনি যে গ্যাস ব্যবহারে নির্দেশনা আছে। আমরা বাজার থেকে কিনেই ব্যবহার করছি। একজন সিএনজি চালক বলেন, আমরা হাতের কাছে এই সিলিন্ডার পাচ্ছি, দামে যদিয় একটু বেশি তাও ব্যবহার করছি। এতে কোন রকম আমাদের পেট চলছে।
শুধু বাসাবাড়ির রান্নার কাজে নয় এই চলমান বোমা ব্যবহার হচ্ছে অটোরিকশাতেও। জীবনের ঝুঁকি জেনেও কিছুই করার নেই যাত্রীদের। এসব সিলিন্ডার গ্যাস যারা বিক্রি করছেন তাদের বেশিরভাগের নেই প্রশাসনের অনুমতি ও বৈধ লাইসেন্স। যাত্রীরা বলেন, গাড়িগুলাতে সিলিন্ডার ব্যবহার একটি অপরাধ করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা আমরা দেখছি না।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দায়ে মাঝে মধ্যেই অভিযান চলানো হয়। ভোলা জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, যারা আগুন নির্বাপকসহ প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার কথা, সেগুলো যারা রাখবে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট হবে। এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা আমরা অভিজান চালাবো।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে কিছু নিয়ম আছে, পাশাপাশি ঝুঁকি কমাতে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ ফায়ার সার্ভিসের। রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক মো.ইউনুস আলী বলেন, আমরা প্রায় দেখি যে শহর এলাকাতা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগেছে। কিন্তু কারণটা দেখা যায় গ্যাসের পাইপটা লিকেজ হয়ে আগুন লাগে। কারণ অনেক সময় পাইপটা শক্ত হয়ে যায়,শক্ত হওয়ার ফলে গ্যাস ভের হয়ে আগুন ধরে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :