স্বপ্না চক্রবর্তী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কাজের ধারবাহিকতা অব্যাহত রেখে সেই পরিকল্পনাগুলোকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রথম দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ডিএনসিসির নব নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর শনিবার দুপুরে উত্তরায় ৪ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করার আছে অনেক কিছু। আমার লক্ষ্যগুলোকে আমি ৩টি পর্যায়ে ভাগ করেছি। শর্ট টার্ম, মিড টার্ম এবং লং টার্ম। নগর সেবক হিসেবে আমার শর্ট টার্ম লিস্টের ১ নাম্বারে আছে ঢাকা উত্তর সিটিকে আলোকিত ঢাকায় পরিণত করা এছাড়া পরিবেশ দূষণ রোধ করা, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে নগর এককে সক্রিয় করা, সকল প্রকার কর এবং লেনদেন ডিজিটাইলইজ ও অটোমেশন করা, বৃক্ষ রোপ, নগর বনায়ন ও নগরকৃষির বিস্তার ও বিকাশ, বিভিন্ন মহল্লায় উন্মোক্ত পার্ক এবং খেলার মাঠ গড়ে একটি সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা। পরিকল্পনা শর্ট টার্ম তালিকায় আরও আছে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা, সড়ক নিরাপত্তা ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নতুন অন্তর্ভূক্ত এলাকর উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের শুরু করা কাজগুলোকে শেষ করা।
তিনি বলেন, ১৮টি ওয়ার্ডের সংযুক্তিতে উত্তর ঢাকা আজ আকারে হয়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। উন্নয়নের হাতছানিতে আমাদের কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছে নতুন মাত্রা। কিন্তু ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে না পারলে বড় বিজয়গুলো রয়ে যাবে নাগালের বাইলে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী একটি দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজের প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।
তবে অগ্রযাত্রার সক্রিয় অংশীদার হিসেবে আমাদের প্রয়োজন ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি এবং অন্যান্য সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গদের সহযোগীতা অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সমাজের সকল গণমান্য সদস্যদের সবাইকে আমাদের প্রয়োজন। এ কথা নির্বাচনে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আসুন বিভেদ ভুলে আমরা যোগ দিই ঢাকার এই অগ্রযাত্রায়, যা আমাদেরকে নিয়ে যাবে কাক্সিক্ষত সেই আগামীর দিকে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যাই ঢাকাকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
আপনার মতামত লিখুন :