জুয়েল খান : নিজের দল কিংবা নিজেদের মনমতো আত্মীয়-স্বজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া বাদ দিয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এই চিত্র শুধু প্রাথমিকে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও চলছে। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষকের কিছুটা ঘাটতি আছে, যে বিষয়ে শিক্ষক নিজেই ভালো জানেন না তিনি শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দেবেন। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে মানসম্মত করতে হলে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে হলে কোনোপ্রকার রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান এখনো স্বচ্ছ নয়। আমাদের দেশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সুন্দর করে সাজাতে হবে। স্কুলের পরিবেশ সুন্দর হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। বিদ্যালয়ের পরিবেশটাকে ভালো করতে স্কুলের সামনে খোলা জায়গা থাকতে হবে সেখানে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারবে। এতে তাদের লেখাপড়া আনন্দদায়ক হবে এবং একে অপরের সাথে খোলামেলা পরিবেশে মেশার সুযোগ পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ের কারিক্যুলাম আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে বলেও মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।
আপনার মতামত লিখুন :