আব্দুর রাজ্জাক : এবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দেয়া ব্রিটিশ কিশোরী শামিমা বেগমকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন তাবা বাবা আহমেদ আলী। গত রোববার শামিমা তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার বাবা তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীতাকে সমর্থন করেছিলেন। এনডিটিভি, ডেইলি মেইল
সিরিয়ায় আইএস এর সর্বশেষ ঘাঁটিগুলো হাত ছাড়া হওয়ার পর আল-হৌল শরণার্থী শিবিরে অবস্থান নেন ১৯ বছর বয়সী শামিমা। সেখান থেকে গণমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি ব্রিটিশ সরকারের প্রতি দেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য ছেড়ে যাওয়া এই কিশোরীকে দেশে ফিরে আসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছিলো ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সরকারের এই বক্তব্য তার বাবা সমর্থনও করেছিলেন।
আইএসে যোগ দিয়ে মারাত্মক ভুল হয়েছে স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়ে শামিমা ব্রিটিশ কিশোরীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য আবারো দেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনুতপ্ত হওয়ার পরই তাকে শাস্তি দেয়ার আগে দেশে ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে ৬০ বছর বয়সী আহমেদ আলী মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন পালিয়ে গিয়েছিলো তখনই ব্রিটিশ সরকারের উচিৎ ছিলো তাকে ফিরে আসতে বাধ্য করা। যদি সে ভুল করে থাকে তাহলে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু শামিমা যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিক তাই তাকে দেশে ফিরতে দিতে হবে।’
‘মানুষ মাত্রই ভুল, আমরা সবাই ভুল করি। তাই বলে তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নিতে হবে, এটা হয় না। শামিমা ব্রিটিশ নাগরিক তাই তার দেশে ফিরে আসার অধিকার রয়েছে’ বলে তার বাবা মন্তব্য করেন।
আহমেদ আলী এখন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সুনামগঞ্জে বাস করছেন। তবে শামিমা পূর্ব-লন্ডন থেকে খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আবাসির সঙ্গে পালিয়েছেন এবং তার পালানোর দু’মাস আগে তার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিলো বলে তিনি জানান। তাকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ভুলভাবে বাংলাদেশী হিসেবে উপস্থাপন করেছে বলে আলী দাবি করেন।
‘শামিমার সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ কিভাবে বলে যে, তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন তাই তার আসার কোন সুযোগও নেই’ বলে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান আহমেদ আলী।
শামিমা জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক, তার কাছে বাংলাদেশী পাসপোর্টও নেই বলে জানিয়েছেন লন্ডনে নিযুক্ত তার আইনজীবী। তার অন্য দুই বোন ও তার মা লন্ডনেই বাস করেন তাই তাকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তাসনিম আকুনজে।
আপনার মতামত লিখুন :