শিরোনাম
◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, কঠোর আন্দোলনের হুঁ.শিয়ারি শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা টাকা না পাওয়ায় হোটেল ছাড়ছেন না ◈ ভারত থেকে চালবাহী দুটি জাহাজ এল মোংলা বন্দরে ◈ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের বিদেশগামীদের জন্য সতর্কবার্তা ◈ তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন জনপ্রশাসন সচিব ◈ ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ◈ পঞ্চম দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ◈ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার ◈ ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি বিপিএলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের কোথাও কোনো স্বচ্ছতা নেই, না জীবনে, না মরণে এমন কেন আমরা?

অজয় দাশগুপ্ত

ভিয়েতনাম থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। হ্যানয় থেকে সিডনি থাই এয়ারওয়েজের বিশাল বিমান। যাত্রী বোঝাই। সারারাতের ভ্রমণ। দীপার স্বভাব ওঠে এদিক ওদিক দেখা, কোনো জায়গায় দুটো সীট একসাথে ফাঁকা পাওয়া যায় কিনা। পেলেই সুখনিদ্রা। সে বার তা পাওয়া যায়নি। তাই আমার পাশে বসেই নাক ডাকছিলো।

আমার হলো বিপরীত। ঘুম আসবে নামার আগে। ছটফট করার চাইতে যা পাই তাই পড়ি। আমাকে প্রশ্ন করুন কিছু কিছু এয়ারলাইনসের খাদ্য তালিকাও মুখস্থ আছে দেখবেন। তো হলো কি, সে রাতে মধ্য... হঠাৎ হৈ-হট্টগোলে লেগে আসা চোখের পাতা গেলো ছুটে। ততোটা জোরে না হলেও আমার এক সীট পেছনেই চলছে মহড়া। আমি তো ভাবলাম কথা কাটাকাটি। পরে দেখি মারমুখো এক বিশালকায় সাদা চামড়ার মানুষ জোরে জোরে বলছে, তার কাছে অস্ত্র আছে এবং সে এই উড়োজাহাজ আকাশেই উড়িয়ে দেবে। বলে কি? একবার বেরিয়ে এসে মাঝখানের সিকিউরিটি দরজা ধরেও টানাটানি করার চেষ্টা করেছিলো। ততোক্ষণে এয়ারক্রাফটের সিকিউরিটির বড় বস আর এক ক্রু কর্তা হাজির।  আমরা তখন তিরিশ-চল্লিশ হাজার ফুট ওপরে। নীচে প্রশান্ত সাগর। যাই ঘটুক বাঁচা দূরে থাক খুঁজেও পাওয়া যাবে না। লোকটি সমানে চিৎকার করছিলো। শান্ত এয়ারক্রাফট কর্মকর্তাদের দেখে আমার তো মেজাজ চরমে। একজন আমার উত্তেজনা দেখে এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললেন, আমরা নিশ্চিত হচ্ছি তার কাছে আদৌ কোনো পিস্তল বা অস্ত্র আছে কিনা। দীপাও তখন জেগে ঘামছে। আমার শুধু মনে হচ্ছিলো অর্ক কি তাহলে একসাথে তার মা-বাবা দুজনকে হারাতে চলেছে?

বেশ খানিকক্ষণ পর তারা যখন নিশ্চিত হলেন যে লোকটি নিরস্ত্র তাকে ঠেলে তার সীটে বসিয়ে দু’পাশে দুজন বসে নিয়ন্ত্রণ করছিলো গতিবিধি। আর তো চোখের পাতা এক করিনি। সারারাত তাদের কর্মকা- আর সঠিক কাজ করার বিষয়গুলো দেখছিলাম। লোকটি সুযোগ পেলেই কিন্তু কিছু একটা করে বসতো যাতে আর যাই হোক দুর্ঘটনা ছিলো নিশ্চিত। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মদ্যপ ও কিঞ্চিত উন্মাদ লোকটিকে বগলদাবা করে তারা এয়ারক্রাফট থেকে নামিয়ে নিলো সিডনি এয়ারপোর্টে। জেনেছি ভিয়েতনাম যুদ্ধে স্বজন হারানোর ক্রোধে ও নাকি এমন করে। মেজাজ ঠিক রাখতে পারে না। কিন্তু যাই হোক ঘটনা নিয়ে বিশ্রী কোনো স্ববিরোধী কথা বিবৃতি বা রহস্য ছিলো না। কালকে বিমানের যে ফ্লাইটটি আবুধাবী যেতে গিয়ে বিপাকে পড়লো তার ব্যাপারে এতো বিভ্রান্তি? এতো রহস্য? আমাদের কোথাও কোনো স্বচ্ছতা নেই। না জীবনে, না মরণে। এমন কেন আমরা? লেখক : কলামিস্ট ও বিশ^বিদ্যালয় পরীক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়