শিমুল মাহমুদ : সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার আলীকে বহিস্কার ও নিয়োগ বাতিলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শিক্ষার্থীর এই দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবি, কোন তদন্ত ছাড়াই এই শিক্ষকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী অঙ্গীকার ভঙ্গকরে শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো কথা না বলেই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রথম দাবি জানাচ্ছি আমাদের সারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত করা এবং তদন্ত শেষে আমরা আমাদের শিক্ষকে ফেরত চাই।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কলেজে গত ১৯ তারিখ এসেছিলো। তখন তিনি বারং করেছিলেন আমাদের সার যেনো স্টেজে না উঠে, অডিটোরিয়ামে না যায়। শিক্ষামন্ত্রী যাওয়া পর আমরা আমাদের স্যারকে রিকোয়েস্ট করে অডিটোরিয়ামে বসিয়েছি এবং আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলা জন্য রিকোয়েস্ট করি। এরপরি বহিস্কারের বিষয়টি উঠে আসে।আমরা মনে করি এর জন্য কিছু অসাধু ক্ষমতা লোভী কিছু শিক্ষক এর জন্য দায়ী।
আমাদের স্যারকে বহিস্কার করা হয়ে, আমরা আমাদের সারকে আমাদের মাঝে ফেরত চাই। আমাদের আর কোন দাবি নাই। সারকে যদি অন্য কোথাও পোস্টিং করা হয় আমরা মানবো না আমাদের সারকে আমাদের মাঝেই ফেরত দিতে হবে।
প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাহমুদা আক্তার কাজল বলেন, আজকে আমরা আমাদের শিক্ষকের জন্য শুধু এখানে এসেছি। আমাদের এই শিক্ষক কি করেছে কি করেনি আমরা ছাত্ররাই তার স্বাক্ষী। আমাদের গার্জেন থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ জানে এই কলেজটির শিক্ষার মানউন্নয়ন, পরিবেশ সৃষ্টিতে ইফতেখার আলী সারের অবদানের কথা।
ইমা বলেন, উন্নয়নে যে কাজ করলো বহিস্কার কি তার পুরস্কার। আমরা ক্লাস বর্জন করে এখানে এসেছি একমাত্র আমাদের প্রিয় শিক্ষকে ফেরত পেতে। এর আগেও আমরা ক্লাস বর্জন করেছিলাম। তখন আমাদের জানানো হয়েছে। সার ক্লাসে ফিরবেন। কিন্তু আমরা গতকাল দেখলাম সারকে বহিস্কার করা হয়েছে। আমরা জানি সারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
আপনার মতামত লিখুন :