মঈন মোশাররফ : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক আফসান চৌধুরী বলেন, সাধারণভাবে একটা দেশে যখন উন্নয়ন কার্যক্রম চলতে থাকে, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে, তখন অতি বড়লোক ও অতি দরিদ্র মানুষ উভয়ই থাকে। দেশে দারিদ্রতার হার অনেক কমেছে কিন্তু বড়লোকও বেড়েছে। স্বাধীনতার পরথেকেই আমাদের দেশে বড়লোক বেড়েছে কিন্তু গরিবদের ব্যাপারে কোনো কার্যক্রমই ছিলো না। দুর্নীতির প্রভাবেই কিন্তু এসব হয়ে থাকে।
সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান মনিটরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, নদী দূষণ থেকে আরম্ভ করে জমি দখল পর্যন্ত কোনটাই বাধা হচ্ছে না বড়লোক হতে। যারা আইন ভঙ্গ করে জমি দখল করে এরা সবাই কিন্তু দুর্নীতিবাজ। এরাই কিন্তু বড়লোক হচ্ছ্। এখানে গোপনীয়তার কিছইু নেই। সত্য কথা বলতে, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতির ব্যপকতার কারণে নীতিবান মানুষের পক্ষে বড়লোক হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশে দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রমের বড় ভূমিকা রয়েছে সরকারের তার থেকেউ বড় ভূমিকা রয়েছে বেসরকারি খাতের। আমি নিজে অতি দারিদ্র নিয়ে কাজ করে দেখেছি অতি দারিদ্রতা যে হারে কমেছে ঠিক তেমনি অতি বড়লোক বেড়েছে। একটি দেশে অতি বড়লোক যখন হয় অর্থনীতিবিদরা তখন বলে দেশের প্রবৃদ্ধিহার বাড়লে বড়লোক বেড়ে যায়। সব দেশেই অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো আছে। বাংলাদেশে এই সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
তিনি জানান, একটা চুরির কেস যদি ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সমাধান করতে না পারে তাহলেতো এই প্রক্রিয়াটি দুর্বল। কারণ আমাদের দেশে দুর্নীতির বিচারকার্য সঠিক ভাবে হয় না। কাঠামো প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থা চলতে থাকবে। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থা চলতে থাকবে। শুধু মাত্র বড়লোক হওয়াটা কোনো খারাপ কিছু নয়, এর সঙ্গে অন্য শ্রেনির উন্নতি হচ্ছে কী না এটা দেখার বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :