সাইফুল বাতেন টিটো: ১৯৭৮ ভারতে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন এক বাঙালি চিকিৎসক। নাম সুভাষ মুখোপাধ্যায়। দেশের প্রথম টেস্টটিউব বেবি তৈরি করেছিলেন তিনি। ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছিলেন পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কোলকাতায়। এবার সেই ইতিহাস এবার উঠে আসছে বড় পর্দায়। কিংবদন্তি এই চিকিৎসকের গল্প সেলুলয়েডে তুলে আনবেন আরেক বাঙালি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। খবর সংবাদ প্রতিদিন।
অবশ্য সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সিনেমা এই প্রথম নয়। এর আগেও হিন্দিতে তাকে নিয়ে সিনেমা করেছিলেন তপন সিংহ। সিনেসার নাম ‘এক ডক্টর কি মউত’। সে সিনেমায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নাম রাখা হয়েছিলো দীপঙ্কর রায়। সেখানে ড. সুভাষের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছিলেন অভিনেতা পঙ্কজ কাপুর। কিন্তু ‘এক ডক্টর কি মউত’ ছিল উপন্যাস নির্ভর চলচ্চিত্র। রমাপদ চৌধুরির ‘অভিমন্যু’ উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটি বানিয়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হয় উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মান করায় অনেক কিছুই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি যা ড. সুভাষের জীবনে ছিলো। তাই এবার কমলেশ্বর ঠিক করেছেন তিনি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বায়োপিক বানাবেন। ড. সুভাষের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন নিয়ে গবেষণার ছবিতে একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে। সিনেমায় শুধু ড. সুভাষের গল্পই নয় থাকবে দেশের প্রথম টেস্টটিউব বেবি ‘দুর্গার’ কথাও।
সিনেমার পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় নিজেও একজন চিকিৎসক। পাশ করেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থেকে। তারপর সিনেমাজগত প্রবেশ তাঁর। তাই স্বাভাবিকভাবেই পূর্বসূরীর প্রতি দুর্বলতা থাকা অসম্ভব নয়। তবে পরিচালক ছবিটি বানাচ্ছেন হিন্দিতে। বাংলায় নয়। ছবিটি প্রযোজনা করবে সঞ্জয় লীলা বনশালির প্রডাকশন হাউস।
টেস্টটিউব বেবির ইতিহাসে ভারতে থমিকভাবে হর্ষবর্ধন রেড্ডি বুরিকে ভারতে টেস্টটিউব বেবি বলা হত। ১৯৮৬ সালে জন্মেছিলেন তিনি। তাঁকে জন্ম দিয়েছিলেন ডাক্তার টি সি আনন্দ কুমার। ১৯৯৭ সালে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে যোগ দিতে আনন্দ কুমার কলকাতা আসেন। তখনই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা জানতে পারেন। তারপরই প্রচারের আলো পান সুভাষ মুখোপাধ্যায়।