মো.সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও : ১৫ দিনের ব্যবধানে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তরা শারীরিক যন্ত্রণায় ছোটাছুটি করছে। এ ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়ছে।
উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের নয়াবাড়ি মহল্লার তাহের আলী (৬৫), তার স্ত্রী হুসনে আরা (৫২), ছেলে ইউসুফ আলী (২৭) ও মেয়ে জামাই হাবিবুর রহমান (২৯) ১৫ দিনের ব্যবধানে মারা গেছেন। তাহের আলী ও তার স্ত্রী দুই দিনের ব্যবধানে মারা যান। এর কয়েকদিন পর মেয়ে জামাই হাবিবুর মারা যান।
গতকাল রোববার সকালে তাহের বড় ছেলে ইউসুফ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ও ছোট ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) কে মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ করিম বলেন, তিনি ইউসুফের জানাজা নামাজে অংশ গ্রহণের পর ভয়ে ওই গ্রাম ছেড়েছেন। একই ভাবে জানান কৃষক আব্দুল জব্বার।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যার্টাজি। এই জনপ্রতিনিধি বলেন আক্রান্তদের ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত মেহেদীকে মুমূর্ষ অবস্থায় এম্বুলেন্স করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আক্রান্তরা জ্বর ও বুক জলা ভুগছিলেন।
এ ছাড়া সাড়া শরীরে ব্যাথ্যা ও জলা শুরু হলে নগ্ন হয়ে ছোটাছুটি করতো। কিছুদিন পড়ে আক্রান্তরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক এ খবর নিশ্চিত করে বলেন মেহেদীর রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রংপুরের চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে রোগ নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান এটি একটি ভাইরাসজনিত এবং রেয়ার। মস্তিকে ভাইরাস বাসা বাধেঁ।
ঠাকুরগাঁও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে বলেন রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভয়ের কারণ নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দুর্গত এলাকা।
আপনার মতামত লিখুন :