শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৬ সকাল
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোপালগঞ্জে ডাক্তারের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভাঙ্গার অভিযোগ

এস এম সাব্বির: গোপালগঞ্জে ভাষা শহীদদের সম্মানে কমলমতি শিশু-কিশোরদের নির্মিত শহীদ মিনার ভঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. রমজান আলীর বিরুদ্ধে।

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে গোপালগঞ্জ সড়ক ভবনের সামনে চরনারান্দ্রীয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শহীদ মিনার ভাঙ্গার ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়, ২১ ফেব্রুয়ারি শিশু-কিশোররা তাদের নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় এলাকার হারুনুর রশিদের বড় ছেলে ডাক্তার মো. রমজান আলী হঠাৎ করে শহীদ মিনারের কাছে গিয়ে শিশু-কিশোরদের অকথ্য ভাষায় বকে ও তাদের গায়ে হাত দেয়। এক পর্যায় কলাগাছ দিয়ে শিশু-কিশোরদের তৈরি করা শহীদ মিনার ভেঙ্গে দেয় ডাক্তার মো. রমজান আলী।

এ ব্যাপারে সানি, রাজ শেখ, সিজান শেখ, আরাফাত রহমান, শুকান্ত বিস্বাস ও রমজান মোল্লা নামের শিশু-কিশোররা জানায়, আমরা অনেক কষ্ট করে কয়েক দিন ধরে এই শহীদ মিনার তৈরি করেছি। স্কুলের টিফিনের টাকা জমিয়ে সেই টাকা দিয়ে ফুল কিনে মালা গেঁথে ছিলাম। সেই মালা দেওয়ার আগেই আমাদের শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিয়েছে ডাক্তার ও তার পরিবারের লোকজন।

এ ব্যাপারে ওই শিশু-কিশোরের অভিভাবকরা জানান, একজন শিক্ষিত মানুষ ও ডাক্তার হয়ে কিভাবে মো. রমজান আলী বাচ্চাদের তৈরি শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিতে পারলো।

ভাষা শহীদদের সম্মানে নির্মিত শহীদ মিনার ভেঙ্গে দিয়ে বাঙালির হৃদয়ে আঘাত করেছে, তাই এর উপযুক্ত বিচার দাবী করেন তারা।

এ ব্যাপারে ডাক্তার মো. রমজান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভাঙ্গার অভিযোগ মিথ্যা। আমি বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে জার্নিকরে গোপালগঞ্জ ফিরে খুব ক্লান্ত ছিলাম। শিশু-কিশোরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে বক্সে গান বাঁজাচ্ছিল। এতে আমার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমি শহীদ মিনারের কাছে গিয়ে সাউন্ড বন্ধ করে দিই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়