শিরোনাম
◈ দেশবাসীর প্রতি মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারির আহ্বান ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতায় তিন মাস ◈ বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নানা মন্তব্য ◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান ◈ ‘আসিফ নজরুলের সঙ্গে আ. লীগ নেতাকর্মীদের আচরণ দেশের আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত’ : তারেক রহমানের বিবৃতি ◈ কী হয়েছিল জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে? ভিডিও ◈ হিলি স্থলবন্দরে একদিনেই এলো ১৮০০ মেট্রিক টন আলু, কিছুটা কমেছে দাম ◈ এমবাপ্পেকে ছাড়াই নেশন্স লিগের জন্য দল ঘোষণা করলো ফ্রান্স ◈ তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার বের করার লক্ষ্যে জিয়া টুর্নামেন্ট সোমবার শুরু ◈ ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যান্ডারসক কেন ৪২ বছর বয়সে আইপিএলে নাম দিলেন?

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫৬ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আকাশে স্যাটেলাইট না পাঠিয়ে রাস্তায় কিছু ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগান

মীনার রশিদ

এক নন্দিত নরকে আটকা পড়েছে ষোলো কোটি বনি আদম! শাসকশ্রেণির চোখে এই শহরটিকে লাগে লসএঞ্জেলস কিংবা প্যারিসের মতো। সঙ্গত কারণেই স্বপ্নের এই শহরটিকে ভীতিকর ও ভয়ংকর শহরগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংস্থাগুলো। এই শহরটি সত্যি সত্যি মৃত্যু ফাঁদ হয়ে পড়েছে।

চকবাজারের ভয়াবহ ঘটনা দেখে মনটি বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। কী লিখবো খুঁজে পাচ্ছি না। এটা দুর্ঘটনা নয়- ¯্রফে খুন বা গণহত্যা। এর দায় রাষ্ট্র বা সরকার এড়াতে পারে না। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি বা গুদাম বানানো রীতিমতো ক্রাইম বা অপরাধ। এগুলো দেখা বা নিয়ন্ত্রণের যেন কেউ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন , শিক্ষা পেলাম , মনোযোগী হবো। অথচ এই শিক্ষা আগেও পেয়েছেন , মনোযোগী হননি।  একই রকমের দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০১০ সালে নিমতলী নামক স্থানে। এরপর আটশো কেমিক্যাল কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব অবৈধ গুদাম বা ফ্যাক্টরি স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ আর দেখা যায়নি। এগুলো কাদের দায়িত্ব ছিলো? মানুষকে যদি এভাবেই মরতে হয় তবে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা বা সরকার থেকে লাভ কী? এই কথাগুলো বলাও এদেশে আর নিরাপদ নয়। তথাকথিত উন্নয়নের নামে এমন এক নন্দিত নরকে দেশবাসীকে আটকে ফেলা হয়েছে। আরো যে ভয়াবহ খবরটি জানা গেলো, ফায়ার ব্রিগেডকে ১ মাইল দূরের পুকুর থেকে পানি ফায়ার হোজের মাধ্যমে এনে আগুনে ঢালতে হয়েছে।  মানুষের পায়ের চাপায় সেসব হোজ চেপ্টে গেছে। সেই পানির বেগ বাচ্চা ছেলের প্রস্রাবের বেগের চেয়ে বেশি ছিলো না। ফলে রাত দশটায় আগুন লাগার পর নেভানো হয়েছে সকাল সাতটায়। অর্থাৎ দাহ্য পদার্থ পুড়ে যাওয়ার পর আগুন আপনা আপনি নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনতে শুনতে দেশবাসী ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এই দেশ অন্যের কোম্পানি ভাড়া করে নিজের নাম ফাটানোর লাগি মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়! তার জন্য এক ধরনের অপার্থিব পুলক অনুভব করে। অথচ তার চেয়েও অনেক কম টাকায় সংযুক্ত ছবির মতো প্রতিটি শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে ফায়ার হাইড্রেন্ট  সংযোগ দেয়া সম্ভব। এতে আগুন নির্বাপণ অনেক সহজ হয়ে পড়তো। আগুন লাগার পর শহরের মধ্যে পুকুর খুঁজতে হতো না।  বিভিন্ন ফালতু কাজে লাখ লাখ কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। লুটপাটের কথা আর নাই বা বললাম। অথচ সামান্য কিছু টাকা ঠিকভাবে খরচ করলে এই দেশের মানুষকে অনেক শান্তি ও স্বস্তি দেয়া সম্ভব। এদেশের মানুষের আলো ঝলমলে প্যারিস বা লসএঞ্জেলসের দরকার নেই। এদের দরকার শুধু একটি নিরাপদ ঢাকা শহর। যে শহরে অসহায় মাকে বলতে হবে না, ‘আমার ছেলের এক টুকরো মাংস এনে দাও , আমি একটু কোলে নেই।’  জানি না এই মায়ের আহাজারি এসব গণশত্রু, ভ- ও প্রতারকদের কানে ঢুকবে কিনা! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়