শিরোনাম
◈ গত ২৪ ঘন্টায় ৯৩ জন পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার ◈ বিনিয়োগ ‘ধ্বংসের’ অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি এস আলমের ◈ আবেগঘন চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধার ‘আত্মহত্যা’ ◈ নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিকে ২০২৫ সালে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ ◈ বিডিআর হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিশনে ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আছেন যারা ◈ নিউ ইয়র্কে পাতাল ট্রেনে ঘুমন্ত নারীযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা ◈ ডিবি থেকে নিয়ে ৯ তরুণকে খুন! সেই এক লোমহর্ষক ঘটনার অনুসন্ধান ◈ বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশের কাছে পাওনা অর্থের পরিমাণ জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ◈ মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা চালালো কারা? নিজ মুখেই জানালেন ভুক্তভোগী (ভিডিও) ◈ টাকার বিনিময়ে আ.লীগ নেত্রী মহিলা দলের সভাপতি! (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমি অধিকার না পাওয়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে মধুপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

জান্নাতুল ফেরদৌসী: ভূমির অধিকার না পাওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনের হাজার-হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসী। র্দীঘদিন ধরে এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম হলেও কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসায় নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। সমস্যা সমাধানে ভূমির মালিকানা বা দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সময় টিভি

৩ বছর আগে মধুপুর গড়ের বিশাল এলাকা সরকার সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করেছে। ফলে যুগের পর যুগ ধরে বসবাস এবং জমিজমা ভোগদখল করলেও বেচাকেনা করতে না পারায় নানা সমস্যায় রয়েছেন তারা।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন,  সেসব স্থানেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আমাদের দাবি সরকার যেন এই ভূমির আইনগত স্বীকৃতি দেন আমাদের।

বাংলাদেশ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা তুষার দারিং বলেন, সরকার যদি জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তবে সেখানে আদিবাসীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

মধুপুরের বনাঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাউকে যেন উচ্ছেদ করা না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানিয়েছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, ৭ বছর আগে একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই এলাকাকে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে এই বনভূমির ভিতরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যে মানুষেরা আছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও বন মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে দিক নির্দেশনা পেলেই আমরা এই জটিলতাগুলো নিরসন করতে সক্ষম হবো।

মধুপুরের ২০ হাজার ১শ ৯২ একর বনভূমির মধ্যে ২০১৬ সালে ৯ হাজার ১শ ৪৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করে সরকার। এই অঞ্চলে গারো, কোচ, বর্মণসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়