স্বপ্না চক্রবর্তী : অক্ষত ট্রান্সফরমার চকবাজারে আগুন লাগার কারণ হিসেবে অনেকেই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কথা বলছেন। তবে বুধবার রাতে সেখানে কোনও ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি। আগুনের কারণেই তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গেছে। ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চুড়িহাট্টা মোড়ের আগুনের ঘটনায় কোনও ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি। তবে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি, চার স্পেন (এক খুঁটি থেকে অন্য খুঁটি পর্যন্ত এক স্পেন) এলটি তার (.৪১৫ কেভি লো ভোল্টেজ তার) এবং ৫ স্পেন এরিয়াল বান্ডেল ক্যাবল নষ্ট হয়েছে। এগুলো বদলাতে হবে।
শুক্রবার তিনি আমাদের সময় ডট কমকে জানান, চকবাজারের ঘটনায় ডিপিডিসি’র পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, লালবাগ জোনের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী সারোয়ার কায়নাত ও প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মুকুল। তারা আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে ভবনটিতে প্রথম আগুন লাগে সেই ওয়াহিদ ম্যানশন চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত। তার আশপাশে কোনও ট্রান্সফরমার ছিল না। পাশের হায়দারবক্স লেনে একটি এবং কাটারা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একটি ট্রান্সফরমার ছিল, যা অক্ষত অবস্থায় আছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে লালবাগ এনওসিএস (জোন)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হরিচন্দ্র হালদার বলেন, আগুন লাগার পর চকবাজারের ১২টি ট্রান্সফরমার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চুড়িহাট্টা ছাড়া অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। সিটি করপোরেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষ করলে যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব সেখানে সরবরাহ শুরু করা হবে। আর যেখানে তার ও খুঁটি বদলাতে হবে সেখানে বদলানোর কাজ শুরু করা হবে।