মঈন মোশাররফ : বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি, কঠোর পদক্ষেপ নিবো বলে আমাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখি। ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল প্রথম সিদ্ধান্ত হয় একটি কমিটি গঠন করে একটি শিল্প অঞ্চল গঠন করা। কিন্তু কিছুই হয় নাই। ২০১৪ সালের মধ্যে ক্যামিকেল কারখানা সরে যাওয়ার জন্য নিয়ম ও সময় নির্ধারণ করা হয়। তারও কিছুই হয় না। আবার দেখা যাচ্ছে অনেক কারখানা সরে যাওয়ার পরেও আবার ফিরে আসার দায় আসলে আমোদেরকেই নিতে হবে।
শুক্রবার ডিবিসি নিউজের ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠে তিনি আরো বলেন, আমি পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী হিসেবে এই ঘটনার দায় মাথা পেতে নিলাম। ৭০ জনের প্রাণহানি নির্লিপ্ততার কারণে হত্যাকাণ্ড, অবহেলা জনিত কারণে হত্যাকাণ্ড, অতি লোভের কাছে পরাজিত হওয়ার কারণে হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, ছোট বেলায় আমরা একটা কথা শুনতাম এক জায়গায় বাঘ, ছাগল ও পান রাখা যায় না । কিন্তু বর্তমানে আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। ব্যবসায়িরা বলবে তা হলেকি আমরা ব্যবসা করবো না। ব্যবসা অবশ্যই করবেন কিন্তু এক জায়গায় বাঘ ছাগল আর পান রাখবেন না। অর্থাৎ একই স্থানে দাহ্য পদার্থও থাকবে আবার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি থাকবে তাহলে এই ঘটনা ঘটবেই।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জরিপ করে বলেছিলো প্রায় ২৫০০ গোডাউন সেখানে রয়েছে। তখন সিটি করপোরেশন বলে দুই আড়াই হাজারের বেশি হবে না। ২০১৭ সালের জুন মাসে ১২ই মার্চ আমাদের মেয়র বললেন, ‘খবরদার এই ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না’ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু কিছুই হয় নাই । ২০১৯ সালে এসে একই ঘটনা ঘটলো।
আপনার মতামত লিখুন :