অজয় দাশগুপ্ত, অস্ট্রেলিয়া থেকে : প্রচারের বাইরেও কিছু মানুষ আছেন যাদের সাথে দেখা হলে মন ভরে যায়। দাদার সাথে অনেক বছর আগে দেখা হয়েছিলো তার অফিসে। গুণদা আমাকে পাঠিয়েছিলেন সেখানে। যতোটা সময় কাটিয়েছিলাম মনে হচ্ছিলো একজন সন্ত কবির সাথে আছি। তিনি আমাদের দেশের একজন প্রথিতযশা লেখক। তবে হুড়মুড় করে সামনে আসার অসম কোনো প্রতিযোগিতায় ছিলেন না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সময় চুপ থাকবে। সময় ঠিকই চিনে নিয়েছে। নিয়েছে বলেই আদর্শ আর নিষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে এ বছর তিনি একুশে পদক পাচ্ছেন।
অসীম সাহা আরো নানা গুণে ভরপুর একজন মানুষ। তার নেতৃত্বের গুণও অসাধারণ। তিনি একটি সাংস্কৃতিক দলের প্রধান, যার আবেগ আর কাজ ইতোমধ্যে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও তার ছাপ রেখেছে। বড় স্পষ্টভাষী আর খোলামেলা মানুষ। আমি যে গুণটি দূর থেকে দেখি তিনি নির্ভীক। আমাদের দেশে বহু সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবিদের দেখেছি আক্রান্ত হলে মিউ মিউ করতে থাকেন। তিনি সে ধাঁচের নন। যখন কাউকে ধরেন তখন, বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে বন্ধুর সংখ্যা কমলো না বাড়লো তা নিয়ে তার কোনো চিন্তাই নেই।
শেখ হাসিনা তাকে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এখন তিনি আমাদের নতুন সময়ের অন্যতম লেখক ও সম্পাদক। তার কলামগুলোর, ঝাঁঝ বড় তেজী। ম্যাড়ম্যাড়ে ‘আমিও ভালো তুমিও ভালো, কিন্তু সবার চেয়ে ভালো পাউরুটি আর ঝোলাগুড় জাতীয় নয়, সরাসরি। কিছুদিন আগে দু’একটি লেখায় তার আদর্শ আর আস্থার পরিচয়ে আমার মতো সকলেই মুগ্ধ।
২০ ফেব্রুয়ারি তিনি একুশে পদক গ্রহণ করবেন এবং একই সঙ্গে তার জন্মদিনও। এমন বিরল সৌভাগ্য সবার হয় না। অসীম সাহার হয়েছে। শুভ জন্মদিন দাদা। ভালো থাকবেন। লেখালেখিতে থাকবেন।
লেখক : বিশ^বিদ্যালয় পরীক্ষক ও কলামিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :