আসাদুজ্জামান সম্রাট : প্রতিবছর প্রত্যেক সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দকৃত ক্রীড়া সামগ্রীর মান নিয়ে সংসদে ক্ষোভ জানালেন সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্বর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান সম্পূরক প্রশ্নে বিষয়টি তুললে উপস্থিত অনেক এমপি টেবিল চাপড়ে তার অভিযোগকে সমর্থন যোগান।
বিষয়টি স্বীকার করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালীন সময়েও এনিয়ে কমিটির বৈঠকে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্যরা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এবার শুধু মান বৃদ্ধিই নয় ক্রীড়া সামগ্রী বাড়ানোরও পরিকল্পনা নিয়েছি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের খেলাধুলার মান উন্নয়নে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী রাসেল জানান, বর্তমানে সারাদেশে বিকেএসপির কেন্দ্রের সংখ্যা ৫টি। কেন্দ্রগুলো হলো- বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় সাভারের জিরানিতে, রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে বিএকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রামে বিএকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সিলেটে বিএকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বরিশালে বিএকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার রামুতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএকেএসপির প্রধান আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং রাজশাহীতে বিএকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার মানোন্নয়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। সারাদেশে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর ইউনিয়ন পর্যায়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
জাসদের শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে তৃণমূল পর্যায় থেকে জুডু ও তাইকোয়ান্দো খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। জুডু ও তাইকোয়ান্দো আত্মরক্ষামূলক খেলা হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি শুধু আত্মরক্ষাই নয় দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।
সরকারি দলের সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত দেশের দারিদ্র্য প্রবণ এলাকার অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের সকল উপজেলায় এই প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :