সুজন কৈরী : একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, একুশের রাতে সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের সম্মান জানাবে। কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদদের সম্মান জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশের মঞ্চ প্রস্তুত। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধা জানানো নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে র্যাব। সামর্থের সবটুকু দিয়ে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবো আমরা। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাহীনতার কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত কোনো শঙ্কা নেই। আমরা আসলে সব ধরনের শঙ্কা দূর করতে চাই। তবে সব সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিস্তারিত নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে বেনজীর আহমেদ বলেন, র্যাবের ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। শহীদ মিনার ও পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে র্যাবের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা থেকে একুশের দুপুর পর্যন্ত নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে। প্রয়োজনে সেটা আরো বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে শহীদ মিনার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। সামর্থ্যের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। যাতে করে জনগণ স্বস্তি-আস্থা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার বিষয়টি ভিন্ন ইস্যু। সেটি ১৯৪৭ সাল থেকে চলে আসছে। সেখানকার চরিত্র আর আমাদের এখানকার ধর্মভিত্তিক উগ্রবাদিতার চরিত্র এক নয়। আমরা প্রতিমুহূর্তে জঙ্গিদের আপডেট রাখছি। গত এক সপ্তাহ দেখলে প্রায় প্রতিদিনই জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনা রয়েছে। আমরা কখনোই জঙ্গিদের থেকে দৃষ্টি সরাইনি।