ইউসুফ আলী বাচ্চু : মুসলিম উম্মাহর আবেগের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে সমাপ্ত হওয়া মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতেই এবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবারে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা বাস্তবায়নের পেছনে সরকার, সরকারের আইএসপিআর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংযুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দায়িত্ব ভূমিকার প্রশংসা করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, ইতিহাসে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় জমায়েত এই বিশ্ব ইজতেমা বাস্তবায়নে তার পরিশ্রম ও সার্থক প্রচেষ্টার কথা কখনোই ভুলবার নয়।
ইজতেমা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, সরকারের এই কয়েকজন মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সংগঠিত হয়েছে।
ভবিষ্যতেও দ্বীন দরদি আন্তরিক এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হজেও ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই হজকে সহজীকরণ ও দুর্নীতিমুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন একে আমরা সাধুবাদ জানাই। তার প্রচেষ্টায় হজব্যবস্থাপনায় দারুণ প্রভাব পড়বে বলেও আমরা আশাবাদি। স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায়ও তিনি সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই সামীয়ানায় মাওলানা সাদ কান্ধলবীর অনুসারী ও আলমী শূরা অনুসারীদের ঐকমত্য সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত ইজতেমার কারণে ভবিষ্যত আরও বন্ধুত্বের হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, আমরা এক আল্লাহর বান্দা। এক নবীর উম্মত। যারা কদিন আগেও ভাই ছিল, যাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ছিল সামান্য মতবিরোধের কারণে তা বিনষ্ট করার কোনো কারণ নেই। ঐকমত্য সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত ইজতেমার প্রভাবেই আবার তাদের মধ্যকার ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরে আসুক।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার টঙ্গীর আখেরী মোনাজাতের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এসব কথা বলেন।
ঐক্য বিনষ্টের কাজ দাওয়াত ও তাবলীগ নয় দাবি করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, দাওয়াত হলো একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কাজ। মুসলমানের ভেতর থেকে মুহাব্বত ও ভালোবাসা কোনোভাবেই উবে যেতে পারে না। লোভ পেতে পারে না। অন্য মুসলমানের প্রতি হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কই মুসলমানিত্ব। সামনের দিনগুলোতে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার তাবলীগের ভাইয়ের মিশন হবে বলে আমি আশাবাদি।
আপনার মতামত লিখুন :